দেশজুড়ে

নোয়াখালীতে মাটি ভরাট নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

নোয়াখালীতে হাউজিং প্রকল্পে মাটি ভরাট নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় এক্সেভেটর, মাইক্রোবাস, মাইক ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

Advertisement

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এসময় প্রেস ক্লাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সাংবাদিক ও আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম মুক্তার নেতৃত্বে মানববন্ধনে হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। হামলায় নেতৃত্ব দেন শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছেরের ছোটভাই আবু ছাদেক জুয়েল। এসময় প্রেস ক্লাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ সড়কে থাকা একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাউজিং প্রকল্পের ৮৫ লাখ টাকার কাজ রূপালী ট্রেডার্সের মালিক ইসমাইল হোসেন থেকে আবদুল করিম মুক্তা সাবকন্ট্রাক নিয়ে মাটি ভরাট করতে গেলে বিএনপির নেতা আবু নাছেরের ভাই তাতে বাধা দেন। এসময় হামলায় চালিয়ে এক্সেভেটর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে হামলা চালান জুয়েল ও তার লোকজন। এসব ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

Advertisement

আবদুল করিম মুক্তার জাগো নিউজকে বলেন, সাবকন্ট্রাক নিয়ে মাটি ভরাট করতে গেলে জুয়েল ও তার সহযোগীরা বাধা দেন। তাদের কথা না শোনায় মঙ্গলবার রাতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এর প্রতিবাদ করলে বুধবার আবারও তারা হামলা করে। এ ঘটনায় আমি বিচার চাই।

এদিকে অভিযুক্ত আবু ছাদেক জুয়েলকে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। তবে তার বড়ভাই শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের বলেন, ঠিকাদারি কাজে এবং মানববন্ধনে হামলার বিষয়টি আমার জানা নাই। প্রেস ক্লাবে হামলা নিন্দনীয় ঘটনা। আমার ভাই সেখানে উপস্থিত ছিল কিনা তাও আমি জানি না। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে পরে জানাবো।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামিম বলেন, সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবে হামলার বিষয়টি দুঃখজনক। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। আমাদের দলীয় কোনো নেতা যদি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/জেআইএম