গুচ্ছ ভর্তি থেকে বেরিয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে দেশের অন্তত ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি ফরম বিক্রি ও ভর্তি থেকে যে আয় করবে, তা থেকে খরচ বাদ দিয়ে যা থাকবে; তা সরকারকে ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
Advertisement
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জিএসটি) এবং প্রকৌশল গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়া ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম থেকে আয় হওয়া অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়া হবে। এজন্য ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরিসহ সব আয়-ব্যয়ের হিসাব নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ায় থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে কত খরচ হতো, গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তারা কত টাকা আয় করছেন- এ দুটি বিষয়ের হিসাব নেওয়া হবে। ইউজিসির মাধ্যমে এটা করা হবে।
Advertisement
চেষ্টা করেও এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুচ্ছভর্তি প্রক্রিয়ায় রাখা সম্ভব হয়নি জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ভদ্র ভাষায় আমরা অন্তত তিনটি চিঠি পাঠিয়েছি। শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুচ্ছ ভর্তিতে থাকার আহ্বান জানিয়েছিলাম। তবুও তারা ফেরেননি। নানা অজুহাতে তারা বেরিয়ে গেছেন। এ বছর আর কিছু করার নেই। আগামীতে যেন গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে, সে চেষ্টা করা হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে ইরাব সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান, সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ, নিজামুল হক, শরীফুল আলম সুমনসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এএএইচ/এমকেআর
Advertisement