আগামী জুন মাসের মধ্যে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলে জরিমানা মওকুফের প্রস্তাব দিয়েছে ভারতীয় কোম্পানি আদানি পাওয়ার লিমিটেড (এপিজেএল)। জরিমানা এড়াতে চাইলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) এই সময়সীমার মধ্যেই বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।
Advertisement
সম্প্রতি পিডিবি চেয়ারম্যানকে এ চিঠি পাঠিয়েছেন জয়েন্ট কো-অর্ডিশন কমিটির প্রেসিডেন্ট এবং আদানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এম আর কৃষ্ণ রাও।
পিডিবির চেয়ারম্যানকে পাঠানো ঐ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জানুয়ারি থেকে জুন ২০২৫ সময়কালে চলমান বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য পিডিবি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মাসিক বিল পরিশোধ করলে এবং ৩০ জুন ২০২৫-এর মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া অর্থ পরিশোধ করলে সারচার্জ মওকুফ করার প্রস্তাব করছে এপিজেএল।’
এছাড়া এপিজেএল তীব্র অর্থ সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং পিডিবি যেন অগ্রাধিকারভিত্তিতে বকেয়া অর্থ পরিশোধ করে সে জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং পিডিবির সঙ্গে ৯ জানুয়ারি আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন:
আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অর্ধেকে নামালো বাংলাদেশবাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্য প্রতিবেশী দেশে বেচতে চায় আদানিআদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি খতিয়ে দেখছে শ্রীলঙ্কাওএর আগে ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর বিল বকেয়া থাকার কারণে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় আদানি কর্তৃপক্ষ। ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল আদানি পাওয়ার। গত আগস্টের শুরুতে তারা ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বকেয়ার অর্থ উদ্ধারে গত ৩১ অক্টোবর একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে নভেম্বরে তারা ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছিল।
আদানির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী গত অক্টোবরে আদানিকে ৯০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু আগের মাসগুলোয় যেখানে প্রতিমাসে বিল বাবদ ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে দেওয়ার চুক্তি রয়েছে, সেখানে মাত্র ২০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার করে দেওয়া হয়েছে। তবে শীতকালে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন সরবরাহের পরিমাণ কমিয়েছে আদানি পাওয়ার।
সবশেষ গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৮৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
Advertisement
এনএস/এসএনআর/জেআইএম