এনামুল হক বিজয় নিজেকে অভাগা ভাবতেই পারেন। সেঞ্চুরি (৫৭ বলে ১০০) করেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। তবে চেষ্টার কমতি রাখেননি। লড়াই করে দলকে জয়ের কাছাকাছি আনলেও শেষ পর্যন্ত ফসলটা ঘরে তুলতে পারেনি দুর্বার রাজশাহী। শ্বাসরুদ্ধকর শেষ ওভারে খুলনা টাইগার্সের কাছে ৭ রানে হেরে গেছে বিজয়ের দল।
Advertisement
জয়ের জন্য ১২ বলে রাজশাহীর দরকার ছিল ২৫ রান। ১৯তম ওভারে খুলনার পাকিস্তানি পেসার সালমান ইরশাদ খরচা করেন মাত্র ৮ রান। তুলে নেন সেট ব্যাটার রায়ার্ন বার্লের উইকেট। এতেই চাপে পড়ে রাজশাহী। কারণ, শেষ ওভারে বিজয়ের দলের দরকার পড়ে ১৭ রান। এরপর হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারে রাজশাহীর দুই ব্যাটার বিজয় ও আকবর আলী মিলে তুলতে পারেন মোটে ৯ রান।
২১০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষমেশ রাজশাহী তুলতে পারে ৪ উইকেটে ২০২ রান। এতে ৭ রানের জয় পায় খুলনা। সর্বশেষ ৫ ম্যাচে প্রথমবার জিতলো মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
আজ রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং ২০৯ রান করে খুলনা। অ্যালেক্স রস ছাড়া খুলনার যেই ব্যাটারই উইকেটে এসেছেন, রান করেছেন। এর মধ্যে ফিফটি হাঁকান আফিফ হোসেন ও উইলিয়াম বসিস্টো। জোড়া ফিফটির পর শেষ দিকে ঝড় তোলেন মাহিদুল ইসলাম অংকন। ১২ বলে করেছেন ৩০ রান।
Advertisement
উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ বলে ৪২ রান করেন খুলনার দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
জিসান আলমের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৪ বলে ২৭ রান করেন নাইম। মিরাজের ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস শেষ হয় তাসকিন আহমেদের বলে জিসানের হাতে ক্যাচ হয়ে।
৩ বলে ১ রান করে রানআউট হন রস। চতুর্থ উইকেটে ৭১ বলে ১১৩ রানের জুটি করেন আফিফ ও বসিস্টো। তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৪২ বলে ৫৬ রান (৩ চার ও ৩ ছক্কা) করেন আফিফ।
বসিস্টো থাকেন অপরাজিত। হার না মানা ৩৭ বলে ৫৫ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান ডানহাতি ব্যাটার। শেষ দিকে ৪ ছক্কায় ১২ বলে ৩০ রান করে ইনিংস শেষ করে আসেন মাহিদুল।
Advertisement
২১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ ওভারে ৪৭ রান তোলে রাজশাহী। ১৫ বলে ৩০ রান করে আউট হন জিসান আলম। মোহাম্মদ হারিস ১৫ বলে ১৫ রান করেন।
৫৭ বলে ১০০ রানে (৯ চার ও ৫ ছক্কা) অপরাজিত থাকেন বিজয়। ইয়াসির আলী ১৭ বলে ২০ ও রায়ান বার্ল ১৬ বলে ২৫ রান করেন।
রাজশাহীর হয়ে তাসকিন ২ আর জিসান ১ উইকেট শিকার করেন। খুলনার হয়ে ২ উইকেট নেন সালমান ইরশাদ।
এমএইচ/