জাতীয়

ফুটবলের সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে পারি

আর্জেন্টিনার সঙ্গে ফুটবলের আবেগঘন সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

Advertisement

রোববার (১৯ জানুয়ারি) আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেসা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

আর্জেন্টিনার ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের বিপুল সমর্থনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আবেগঘন সংযোগ রয়েছে। আমরা এটি কাজে লাগাতে পারি। ক্ষেত্র প্রস্তুত আছে। আমরা এটি অন্যান্য ক্ষেত্রেও সম্প্রসারণ করতে পারি।’

প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন বা যৌথ উদ্যোগে তুলা সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য ও বিনিয়োগ স্থাপনের সুযোগ খুঁজে দেখতে এবং জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনাও অনুসন্ধান করার কথা বলেন।

Advertisement

রাষ্ট্রদূত সেসা বলেন, আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক অনাবিষ্কৃত সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে, যা উভয় দেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনা ধরে রাখতে পারে। তিনি বাংলাদেশকে বুয়েনোস আইরেসে দূতাবাস খোলার বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানান।

আরও পড়ুন ওষুধ খাতে আর্জেন্টিনাকে বিনিয়োগের আহ্বান ডিসিসিআই’র আর্জেন্টিনায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যে ইতিবাচক অনুভূতি রয়েছে, আমরা সেটি উভয় দেশের মঙ্গলের জন্য কাজে লাগাতে পারি।’

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে বর্তমানে আর্জেন্টিনার পক্ষে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে এবং তারা বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়িয়ে এই বাণিজ্য ভারসাম্যপূর্ণ করতে চায়।

বর্তমানে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে সয়াবিন, গম, ভুট্টা ও কাঁচা তুলা রপ্তানি করে এবং বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করে।

Advertisement

তিনি তুলা, যৌথ বিনিয়োগ, ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল, ফুটবল (নারী ফুটবলসহ), মাইক্রোক্রেডিট, বাণিজ্য প্রতিনিধি দল, এলএনজি, ধানের রোগ-প্রতিরোধ বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত সেসা ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট জোরপূর্বক গুম প্রতিরোধ বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিপিপিইডি) স্বাক্ষর করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন, যা আর্জেন্টিনা গৃহীত করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করেছিল। তিনি আর্জেন্টিনায় মাইক্রোফাইন্যান্স চালুর জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতাও চান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসডিজিবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মুর্শেদ এবং প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এমইউ/বিএ/জেআইএম