নারায়ণগঞ্জ থেকে গাজীপুরগামী পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানি বহনকারী জাহাজ থেকে ৩৬০ মেট্রিক টন ফার্নেস তেল ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নৌ পুলিশ।
Advertisement
তারা হলেন, মো. ইসমাইল বেপারি, মো. আমজাদ হোসেন তপু, মো. ফেরদৌস ফরাজী, মো. রিয়াজ হোসেন, মো. সুমন মিয়া, মো. ইউসুফ মিয়া, মো. অনিক মিয়া এবং মো. রানা।
এ সময় তেল লুটে ব্যবহৃত এমভি ভূইয়া নামে একটি বাল্কহেড, তেল আনলোড করার স্যালো মেশিনের দুটি পাইপ ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশান পুলিশ প্লাজায় বাহিনীর সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নৌ পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানান।
Advertisement
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরপরই নৌপথকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন ডাকাত গ্রুপ সক্রিয় হয়ে ওঠে। নৌপথে ডাকাতি, দস্যুতা রোধে নৌ পুলিশ নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন
সাভারে চলন্তবাসে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে আহত ৪নৌ পুলিশের ডিআইজি মিজান বলেন, গত ১০ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনগঞ্জ সামিট গ্রুপের ঘাট থেকে ওটি বিন জামান-১ নামের ওয়েল ট্যাঙ্কার আনুমানিক তিন কোটি টাকা মূল্যের ৩৬০ মেট্রিকটন ফার্নেস ওয়েল নিয়ে গাজীপুর কড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
সংবাদ সম্মেলনে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জাহাজটি মুন্সীগঞ্জ সদর থানার চর মুক্তারপুর শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীর মোহনায় পৌঁছালে জাহাজের স্টাফদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় জাহাজটি থেকে প্রায় ৩৫০ টন তেল অন্য আরেকটি জাহাজে নিয়ে পালিয়ে যায়।
Advertisement
পরে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীর চর সলিমাবাদ ভূতের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে লুট করা তেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় তেল লুটে ব্যবহৃত জাহাজসহ অস্ত্র ও নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
নিরাপদ নৌপথ নিশ্চিত করণসহ নৌপথে যেকোনো প্রয়োজনে নৌ পুলিশের সহযোগিতা গ্রহণের জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
টিটি/এসআইটি/এমএস