নাটোরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবা প্রার্থীর কাছ থেকে সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের ঘুষ নেওয়ার এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। এ ঘটনায় সর্বমহলে নিন্দার ঝড় চলার মধ্যেই শনিবার রাতে (১৮ জানুয়ারি) ওই এসআইকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
Advertisement
ঘুষ নেওয়ার ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবা প্রার্থী এসআই আমিনুল ইসলামের হাতে ঘুষ দিচ্ছেন। পরে আমিনুল সেই ঘুষের টাকা ড্রয়ারে রেখে দেন। এসময় ওই সেবা প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, তিনি ৩০০ টাকা চা খেতে দিয়েছেন। এর আগে তিনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য এক হাজার ঘুষ দিয়েছেন বলে ভিডিওতে বলতে শোনা গেছে।
অন্য এক ভুক্তভোগী মামুন হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) মোবারক হোসেন নামে তার এক পরিচিত ব্যক্তি সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন। এসময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। পরে পুনরায় তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেরিয়ে আসেন।
মামুন হোসেন বলেন, পরে আবেদনকারী মোবারককে বারবার ফোন করে ঘুষ দাবি করেন ওই এসআই। থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করলে সবার কাছ থেকেই কৌশলে পুলিশের অনেক কর্মকর্তারা টাকা আদায় করে নেন। এই সময়ে এসেও যদি তারা এভাবে ঘুষ নেয়, তাহলে তো আর বলার কিছু থাকল না।
Advertisement
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি পুলিশের জন্য খুবই দুঃখজনক। এসআই আমিনুল ইসলামকে ক্লোজড নাটোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। কোনো পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ নেবে না।
রেজাউল করিম রেজা/এসএএইচ
Advertisement