বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাটের সরকারি খাস পুকুর দখলের পর বালু ভরাট করে দোকান ভাড়া দিয়েছেন ইউপি সদস্য এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি। এ ঘটনায় স্থানীয় এক ব্যক্তি সরকারি জমি দখলমুক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
Advertisement
অভিযোগকারী মো. হান্নান শেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজার পরিচালনায় কোনো কার্যকরী কমিটি নেই। এ সুযোগে বাকাল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেমায়েত উদ্দিন শিকদার ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফিরোজ শিকদার পয়সারহাটের সরকারি পুকুর বালু দিয়ে ভরাট করে আসছেন। তারা প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে তিনটি ঘর উত্তোলন করে ভাড়াও দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পয়সারহাট বন্দরের ১২০ বছরের পুরাতন সরকারি পুকুর বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করেছেন বাকাল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেমায়েত উদ্দিন শিকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফিরোজ সিকদার ও স্থানীয় মো. রুবেল সিকদার। সম্প্রতি তারা দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়াও দিয়েছেন।
স্থানীয় আব্দুর রব শেখ ও দেলোয়ার শেখ জানান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফিরোজ শিকদার, ইউপি সদস্য হেমায়েত উদ্দিন সিকদার ও তার সহযোগী মো. রুবেল সিকদার মিলে পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাট করেন। এর আগেও কিছু অংশ ভরাট করে তারা দোকানঘর নির্মাণ করেন। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
Advertisement
এ ব্যাপারে বাকাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও পয়সারহাট বন্দর কমিটির সভাপতি বিপুল দাস বলেন, সরকারি পুকুর ভরাট করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে প্রশাসনকে নিয়ে বালু ভরাট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মো. ফিরোজ শিকদার ও বাকাল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেমায়েত উদ্দিন শিকদার পুকুর ভরাট কাজের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন। তারা বলেন, রুবেল নামে এক ব্যক্তির পুকুর ভরাট করার কথা শুনেছি।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাওন খান/এফএ/জেআইএম
Advertisement