অর্থনীতি

বাণিজ্যমেলায় টেস্টি ট্রিটের স্টলে ভোজনরসিকদের উপচেপড়া ভিড়

রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৯তম আসর। এরই মধ্যে ক্রেতা-দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ।

Advertisement

প্রতিবারের মতো এবারও খাবারের নানান আয়োজন নিয়ে বাণিজ্যমেলায় এসেছে ফাস্ট ফুড চেইন টেস্টি ট্রিট। বাহারি খাবারে স্বাদ নিতে টেস্টি ট্রিটের স্টলে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন বয়সী নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে আছে মেলা প্রাঙ্গণ। কেনাকাটার পাশাপাশি দুপুরের খাবার বা হালকা স্ন্যাকস খেতে অনেকেই আসছেন টেস্টি ট্রিটের প্যাভিলিয়নে।

টেস্টি ট্রিট প্রিমিয়াম প্যভিলিয়নের কর্মী খাইরুল বাসার সোহাগ জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের আউটলেটে শতাধিক ফাস্টফুড এবং ডেজার্ট আইটেম আছে। স্ন্যাকস এবং ওয়েফারের কিছু কম্বো আইটেম আছে। এছাড়া আমাদের কিছু লাইভ আইটেম আছে, যা ক্রেতার চোখের সামনে তৈরি করা হয়। যেমন- চিকেনের কিছু আইটেম, ওয়াফল, ডোনার কাবাব প্রভৃতি।

Advertisement

তিনি বলেন, বর্তমানে ডোনার কাবাব লাইভ আইটেমের মধ্যে খুবই হিট একটা আইটেম। চার ধরনের ডোনার কাবাব আছে, দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে। এছাড়া লাঞ্চ আইটেম আছে ডিম খিচুড়ি ৯০ টাকায়। চিকেন ফ্রাইড রাইস ১৮০ টাকা।

টেস্টি ট্রিটের প্যাভিলিয়নে রয়েছে স্ন্যাকস এবং বিস্কুট আইটেমের কম্বো অফার। এর মধ্যে আছে টোস্ট, মুড়ি, চানাচুর, বিস্কুট, কুকিজ, ক্রেকার্স ইত্যাদির ১০টি প্যাকেজ। এছাড়া চকোলেট ম্যাজিক বক্স রয়েছে, যেখানে রেগুলার প্রাইস থেকে ৫০ টাকা ছাড় পাবেন। কুকিজ বক্সে থাকছে ১০০ টাকা ছাড়।

আরও পড়ুনযুগ্ম নামে কেনা যাবে না পরিবার সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টে ১৫ হাজার কোটি টাকা 

বাণিজ্যমেলায় টেস্টি ট্রিটের রয়েছে দুইটি আউটলেট, একটি সামনের দিকে ছোট আরেকটি পেছনের দিকে প্রিমিয়াম প্যাভিলিয়ন। দুইটি আউটলেটেই সব প্রোডাক্ট পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতার চাহিদার কথা বিবেচনায় দুইটি আউটলেট রাখলেও দুটোতেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ক্রেতার চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন টেস্টি ট্রিটের কর্মীরা।

খাইরুল বাসার সোহাগ বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমাদের খুবই ভালো সেল হয়ছে। ক্রেতাও সন্তুষ্ট। মেলায় বিভিন্ন লোকাল ফুড কর্নার আছে, কিন্তু সেগুলো থেকে আমাদের খাবারের স্বাদ এবং মান দুটোই ভালো। টেস্টি ট্রিট সবসময়ই ক্রেতার আস্থা নিয়ে কাজ করে। ক্রেতারাও আমাদের ওপর আস্থা রাখেন।

Advertisement

সুরাইম নামের এক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, অন্যসব খাবারের দোকান থেকে টেস্টি ট্রিটে সুলভমূল্যে লাঞ্চ পাওয়া যায়। খাবারের মানও খুব ভালো। আমি ডিম খিচুড়ি নিয়েছি। সবসময়ই টেস্টি ট্রিট থেকে স্ন্যাকস আইটেম খেয়ে থাকি।

মেলায় পরিবার নিয়ে এসেছেন মাইমুনা। তিনি বলেন, আগে বাণিজ্যমেলায় আসলে খাবার নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় পড়তে হতো। কিন্তু টেস্টি ট্রিট থাকায় অনেকটাই নিশ্চিন্ত হওয়া যায়।

বানিজ্যমেলায় টেস্টি ট্রিটের রিজিওনাল ম্যানেজার শরিফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, মেলায় আমাদের দুইটি আউটলেট। একটি প্রিমিয়াম রেস্টুরেন্ট ১০ এবং অন্যটি ক্যাফে ২। বাণিজ্যমেলা উপলক্ষে আমাদের নতুন ইনোভেশন ডোনার কাবাব। আমরা খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের বান কম্বো আছে, যা ৩০ টাকা ছাড়ে মিলছে। এছাড়া বিভিন্ন কুকিজ কম্বো, মিক্সড কম্বো, স্ন্যাকস কম্বো আছে যেগুলোতে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় চলছে।

গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা হতো শেরেবাংলা নগরে। এরপর ২০২২ সালে প্রথমবার মেলার আয়োজন করা হয় পূর্বাচলে। এবার চতুর্থবারের মতো স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে হচ্ছে বাণিজ্যমেলা।

এসআরএস/কেএসআর