কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, কৃষি আমাদের দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। আমাদের দায়িত্ব শুধু কৃষকদের সহায়তা করাই নয় বরং তাদের জীবনমান উন্নত করা এবং টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য কাজ করা।
Advertisement
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ মিলনায়তনে ৪৩তম বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারে নতুন যোগদান করা কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে কৃষি। আমাদের মোট শ্রমশক্তির একটি বিশাল অংশ প্রায় ৪০.৬২ শতাংশ এখনো কৃষি ক্ষেত্রে নিয়োজিত।
তিনি বলেন, কৃষি খাতে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার সংমিশ্রণ রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমির অবক্ষয়, কৃষি উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির রূপান্তর-এসবই আমাদের সামনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। মেধা, উৎসাহ এবং সেবার মনোভাব এই খাতকে আরও উন্নত করবে। আপনারা যেখানেই কাজ করবেন, সেখানকার কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন তথা কৃষিক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নে আপনারা হয়ে উঠবেন নেতৃত্বের আলো।
Advertisement
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির। তথ্যপ্রযুক্তির উৎকষতার এই যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, তেমনি এটি আমাদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে বিশেষ দায়িত্বশীল হতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি যেন সবসময় পেশাদার হয়। পোস্ট, মন্তব্য এবং শেয়ার করা তথ্যের মাধ্যমে পেশাদারত্ব প্রতিফলিত হতে হবে।
আরও পড়ুন: কৃষি উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে করণীয় নির্ভরতার কৃষিতে ছুটছে অর্থনীতির চাকাকৃষি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে, আপনাদের কাছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল তথ্য থাকবে। এসব তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন এবং নিশ্চিত করুন যে কোনো গোপন বা সংবেদনশীল তথ্য যেন জনসমক্ষে না আসে।
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানা।
এনএইচ/এমআরএম/এএসএম
Advertisement