জাতীয়

সব বিভাগে ডিজিটাল ফরেনসিক ও ডিএনএ ল্যাবের সুপারিশ

সকল বিভাগীয় শহরে ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি স্থাপনের সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন।

Advertisement

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন।

প্রতিবেদনের পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা/ইউনিট শক্তিশালীকরণ অংশে বলা হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে আটটি বিভাগীয় মেট্রোপলিটন এলাকায় করোনার (Coroner) নিয়োগ এবং তার অফিস স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

মামলার আলামত চিহ্নিতকরণ, সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণের পেশাগত জ্ঞানের উন্নয়নের জন্য একটি ফরেনসিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। সকল বিভাগীয় শহরে ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি স্থাপনের সুপারিশ করা হলো।

Advertisement

প্রতিটি বিভাগে একটি ক্রাইমসিন ইউনিট/ব্যালাস্টিক শাখা গঠন করা যেতে পারে। প্রতিটি বিভাগে জাল নোট ও অন্যান্য জাল দলিলাদি শনাক্তকরণের জন্য ইউনিট গঠন করা যেতে পারে। প্রতিটি বিভাগে একটি পদচিহ্ন শাখা, একটি হস্তলিপি শাখা ও একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট শাখা গঠন করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন র‌্যাব নিয়ে যা সুপারিশ করলো পুলিশ সংস্কার কমিশন দোষী না হওয়া পর্যন্ত মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করা যাবে না

এছাড়া প্রতিটি বিভাগীয় শহরে অটোমেটেড ডিএনএ ল্যাব স্থাপন করার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন।

প্রভাবমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক পুলিশ বাহিনীর বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে, পুলিশ সংস্কার কমিশন সামগ্রিক বিষয় ধর্তব্যে নিয়ে একটি নিরপেক্ষ প্রভাবমুক্ত ‘পুলিশ কমিশন’ গঠনের বিষয়ে নীতিগতভাবে ঐকমত্য পোষণ করেছে। প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশন আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে নাকি সাংবিধানিক কাঠামোভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান হবে তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে হওয়া বাঞ্ছনীয়।

পুলিশ কমিশনের গঠন, কার্যপরিধি, সাংবিধানিক বা আইনি বাধ্যবাধকতা, আইনে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ ও যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন বলেও মনে করে পুলিশ সংস্কার কমিশন।

Advertisement

টিটি/বিএ/জিকেএস