দেশজুড়ে

পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

নোয়াখালীতে পুলিশ হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত আবদুর রহমান (৩৪) সোনাইমুড়ি উপজেলার হীরাপুর গ্রামের মৃত সাইদুল হকের ছেলে।

Advertisement

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে বিকেলে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।

খবর নিয়ে জানা গেছে, সোমবার ভোররাতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী হীরাপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আবদুর রহমান, সুরু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমানকে (২৫) গুলি ও ছোরাসহ আটক করে। পরে তাদের সোনাইমুড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়।

নোয়াখালী সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রিফাত আনোয়ার জাগো নিউজকে বলেন, ভোরে দুই আসামিকে দুটি গুলি ও তিনটি ছুরিসহ আটক করে সকাল ৭টার দিকে সোনাইমুড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে পুলিশ মামলা রুজু করে আদালতে উপস্থাপন করে। শুনেছি সন্ধ্যায় একজন মারা গেছে।

Advertisement

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আবদুল মান্নান শাকিল জাগো নিউজকে বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ আবদুর রহমানকে অসুস্থ অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। তার গায়ে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। আবদুর রহমানকে ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওয়ার্ডে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।

নোয়াখালী আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শহীদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সোনাইমুড়ি থানার অস্ত্র আইনের মামলায় দুই আসামিকে হাজির করলে তাদের শারীরিক অসুস্থতা দেখে চিকিৎসার নির্দেশ দেন বিচারক। পরে তাদের পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ইব্রাহীম জাগো নিউজকে বলেন, আদালত থেকে নির্দেশনার পর চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। আমরা হাসপাতালে আছি। বিস্তারিত ওসি বলতে পারবেন।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলমকে বারবার ফোন দিলেও তিনি কল কেটে দেন। মেসেজ দিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

Advertisement

ইকবাল হোসেন মজনু/জেডএইচ