মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ব্যাপক হারে বেড়েছে চুরির ঘটনা। উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকান ও বাড়িতে অহরহ চুরি হচ্ছে। বাদ যায়নি পুলিশের ট্রলারের গিয়ার-বক্সও। ফলে চুরি আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
Advertisement
স্থানীয়রা জানান, খেয়াঘাটের নৌকা থেকে ডিজেল-মলিল, জেলেদের নৌকা থেকে জাল, ইজিবাইকের ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক মোটর, মোবাইল সেটসহ বিভিন্ন সামগ্রী চুরির ঘটনা ঘটছে। উঠতি যুবকরা নেশার টাকা জোগাড় করতে চুরিতে জড়াচ্ছে দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চুরির ঘটনা বাড়লেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। একে পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা বলছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে অনেকে হতাশা প্রকাশ করেন।
দড়িকান্দি গ্রামের শফিকুল ইসলাম নামের এক জেলে বলেন, ধারদেনা করে ৪৪ জাল কিনেছিলাম। একেকটির দাম তিন হাজার ৫০০ টাকা। রাতের আঁধারে সবগুলো চুরি হয়েছে। মাদকসেবী চারজনকে সন্দেহ করলেও প্রমাণের অভাবে কিছু করতে পারছি না।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, জয়ন্ত, লিটন, আজিজুল, তুষারসহ আরও কয়েকজন জেলের জাল চুরি হয়েছে। হাতেনাতে একদিন বাজারে বিচারও হয়েছিল। এরপর চোর চক্র আরও বেপরোয়া হয়েছে। থানার ট্রলার থেকে গিয়ারবক্সও চুরি হয়েছে বলে শুনেছি।
খালপাড় গ্রামের বাসিন্দা চুন্নু বলেন, কয়েকদিন আগে আমার বাড়িতে অটোরিকশা চার্জে থাকা অবস্থায় ব্যাটারি চুরি হয়। চোর চক্র পদ্মা নদীর পাড়ে দোকানদার মুন্নাফের দোকান থেকে ডিজেল-মবিল চুরি করে বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে। সন্দেহ করে অভিযোগ করতে গেলে হুমকি দেয়। এ চক্রের বেশিরভাগই নেশাগ্রস্থ।
জামিরুল নামে এক ব্যাক্তি বলেন, পুলিশের অবহেলার কারণে চুরির ঘটনা বেড়েছে। পুলিশের ট্রলারে চুরি হলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে?
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিন খাঁন জাগো নিউজকে বলেন, রাতে টহল বাড়িয়েছি। দুই মাসে চুরির ঘটনায় হরিরামপুর থানায় দুটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।
Advertisement
সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশের ট্রলারের গিয়ারবক্স চুরির ঘটনা প্রথম শুনলাম। থানায় খোঁজ নিয়ে নেব। চুরির রোধে নিরাপত্তা টহল জোরদার করা হবে।
আরএইচ/এএসএম