তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে এ মাসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ২০ জানুয়ারি ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সিরিজ।
Advertisement
নারী ক্রিকেট দলের এই সফরের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৩০ সদস্যের দলের সরকারী অনুমতি (জিও) দিয়েছে। সেখানে ২১ খেলোয়াড়ের সঙ্গে আছেন কোচসহ ৯ কর্মকর্তা। এ সফরের জন্য জিও’র তালিকায় নাম আছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দুই কর্মকর্তার।
প্রধান কোচ হিসেবে জ্যোতি-মুর্শিদাদের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবেন হাসান প্রশান্থ তিলকারত্নে। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে থাকছেন দিনুক সুলাকাশানা, টিম অপারেশনন্স ম্যানেজার এসএম গোলাম ফাইয়াজ, পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট মো. রাশেদ ইকবাল, ফিজিও তানসিন আবদুল তায়েব, ট্রেনার শামসুল হুদা।
তালিকার শেষ দুটি নাম সরকারী দুই কর্মকর্তার। তারা হলেন- জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ডকুমেন্টেশন কাম লিঁয়াজো অফিসার মো. রুহুল আমিন এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (ক্রীড়া-১ অনুবিভাগ) ড. শেখ মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন।
Advertisement
নারী ক্রিকেট দলের সাথে এই দুই সরকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব কি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রীড়াঙ্গনের অনেকে। বিশেষ করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ডকুমেন্টেশন কাম লিঁয়াজো অফিসার মো. রুহুল আমিনের নাম ক্রিকেট দলের সাথে আছে জানতে পেরে অনেকে অবাকও হয়েছেন। দেশের ক্রীড়ার অন্যতম অভিভাবক প্রতিষ্ঠানে ক্রিকেটের কোচও আছেন। তাদের কাউকে দলে না রেখে ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ শাখার একজন কর্মকর্তাকে ব্যয়বহুল সফরে পাঠানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাকে খেলা দেখার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাঠানো হচ্ছে। আমি দীর্ঘদিন সাধারণ শাখায় ছিলাম না। আমাকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল প্রায় ১২ বছর। আমি আসছি, কাজ শুরু করছি। তাই স্যার আমাকে পাঠাচ্ছেন।’
আপনি যে ১২ বছর বঞ্চিত ছিলেন তার উপহার কি এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর? ‘না। এটা বলা যাবে না। স্যার (ক্রীড়া পরিষদের সচিব) বড় মনের মানুষ। তাই আমাকে পাঠাচ্ছেন’- বলেছেন রুহুল আমিন।
এ বিষয় জানতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলামকেও।
Advertisement
আরআই/আইএইচএস/