কোমল পানীয়তে আরোপিত বাড়তি সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

দেশীয় এবং বহুজাতিক সকল বেভারেজ কোম্পানির ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট সকল নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নিকট কোমল পানীয়তে নতুন করে আরোপিত বাড়তি সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারপূর্বক এই খাতে সার্বিকভাবে সম্পূরক শুল্ক কমানোর জোর দাবি জানিয়েছেন।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচারার্স আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এই কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাণ গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নুরুল হক, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের অপারেশনাল ডিরেক্টর সৈয়দ জহুরুল আলম, সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার সোহরাব হোসেন, আবুল খায়ের গ্রুপের হেড অফ লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ আমিনুল হক, সজীব গ্রুপের হেড অফ এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহফুজুল হক, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেডের হেড অফ ফাইন্যান্স মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. মাইদুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত ৯ জানুয়ারি সকল ফ্লেভারড পানীয় ও ইলেকট্রোলাইট পানীয় (কার্বোনেটেড ও নন- কার্বোনেটেড বেভারেজ) পণ্যের ওপর অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক ও অন্যান্য শুল্ক বৃদ্ধিতে সার্বিক ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সম্প্রতি সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় এই শিল্পক্ষেত্রের উদ্যোক্তারা ব্যাপক হতাশা ব্যক্ত করেন। নতুন করে এই করারোপের ফলে বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে পণ্যের মূল্য আরও বাড়বে। যা ভোক্তার ক্রয়সীমার বাইরে চলে যেতে পারে।

কয়েক বছর ধরে বেভারেজ পণ্যের ওপর সরকারের বারংবার সম্পূরক শুল্ক এবং বিভিন্ন ডিউটি বৃদ্ধি করায় বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। যার ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ১৬ শতাংশ নেগেটিভ গ্রোথ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

এর ফলে বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি আরও সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। যার ফলে কোম্পানিগুলোর আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সরকারও এই খাত থেকে রাজস্ব হারাবে। এমনকি কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের বন্ধ হয়ে যাওয়ারও প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে দেশে বেকারত্ব বাড়তে পারে। এর পাশাপাশি দেশীয় বাজারে আমদানিকৃত বিদেশি পণ্যেরও ব্যাপক প্রসারের আশঙ্কা রয়েছে।

বক্তারা সম্ভাবনাময় এই খাতের সুষ্ঠু প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এসআরএস/এএমএ