বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানির ওপর শুল্ক ও মূসক (ভ্যাট) কম বাড়িয়ে একচেটিয়াভাবে নিম্নস্তরের দেশীয় কোম্পানির ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ন্যাশনাল সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন (এনসিএমএ)।
Advertisement
সংগঠনটি বলছে, বিদেশি কোম্পানির উৎপাদিত সিগারেটে নামমাত্র ২ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে ধুকতে থাকা দেশীয় উদ্যোক্তাদের নিম্ন সিগারেটে একক অর্থবছরে প্রায় ১২ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুন নাহার লাকি এসব অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা দেশীয় সিগারেট কোম্পানির সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে নিম্ন স্লাবের সিগারেটে এক ধাপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা মূল্য ও ৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এই খাতে দুই দফায় মোট ১৫ টাকা এবং ৯ শতাংশ কর বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা দেশের সিগারেট শিল্পের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।
Advertisement
সিগারেট খাতে করনীতি সংস্কারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নিম্নস্তরে দেশীয় কোম্পানর জন্য ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ঘোষিত মূল বাজেট অনুযায়ী ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বলবৎ রাখতে হবে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী অধ্যাদেশ অনুযায়ী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য ঘোষিত ৬৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আহরণ কঠিনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংগঠনটির অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেট নীতি কৌশল অনুযায়ী বাজারের ভারসাম্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিম্ন স্ল্যাব শুধু দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য সংরক্ষিত রেখে কোম্পানিগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সুযোগ করে দেওয়া। এছাড়াও সিগারেট খাতে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বাজারে সুষম বণ্টন ব্যবস্থা আনয়নের জন্য প্রতিযোগিতা আইন-২০১২ বাস্তবায়ন করা।
এসএম/ইএ
Advertisement