আইন-আদালত

বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের মামলা স্থগিত

ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাফিজ ইব্রাহিমের ১০০ বান্ডেল ত্রাণের ঢেউটিন আত্মসাতের মামলা চলবে বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

Advertisement

একই সঙ্গে ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলা চলবে বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা (লিভ টু আপিল) আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (১২ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এ. এম. মাহবুব উদ্দিন।

এর আগে ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট এ মামলা চলবে বলে আদেশ দিলেও একই বছর মামলাটি প্রাথমিকভাবে স্থগিত করেন।

Advertisement

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবারও হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলা চলবে বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা (লিভ টু আপিল) আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আপিল শুনানি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই মামলা স্থগিত থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলা বাতিলে হাফিজ ইব্রাহিমের আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন। এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন হাফিজ ইব্রাহিম।

ওইদিন তৎকালীন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ১০০ বান্ডিল ত্রাণের ঢেউটিন আত্মসাতের মামলায় তার দায়ের করা ফৌজদারি রিভিশনের রুল খারিজ, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই।

আমিন উদ্দিন মানিক আরও জানান, ২০০৭ সালের ১৩ জুন যৌথবাহিনী ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মনিরাম বাজার সংলগ্ন হাফিজ ইব্রাহিম মহাবিদ্যালয়ের তিনটি টিনের ঘর থেকে ১০০ বান্ডিল ত্রাণের ঢেউটিন ভোলা নৌ-কন্টিনজেন্ট এবং থানা পুলিশ যৌথভাবে জব্দ করে। ওইদিনই বোরহান উদ্দিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন।

Advertisement

মামলাটি দুদকের সহকারী পরিচালক রামমোহন নাথ মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে অধ্যক্ষ এস. এম. গজনবী, চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. হাফিজ ইব্রাহিম ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাহজাহানকে নিয়ে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলাটিতে অন্য আসামিদের সাতজন সাক্ষী হয়ে গেছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলাটির তার অংশ কেন বাতিল হবে না মর্মে রুল জারি ও কার্যক্রম স্থগিত করেন। সেই রুলের ওপর ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর শুনানি শেষ হয়।

মামলার আসামি ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাজাহান মারা গেছেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহনির্মাণের জন্য ২০০ বান্ডেল টিন বরাদ্দ করা হয়। পরে ২০০৭ সালের ১৩ জুন বোরহানউদ্দিন উপজেলা টগবী ইউনিয়নের হাফিজ ইব্রাহিম মহাবিদ্যালয়ের ৩টি টিনের ঘর থেকে ২০৪টি বড় ঢেউটিন এবং ১০৫টি ছোট ঢেউটিন উদ্ধার করা হয়।

২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এফএইচ/এসএনআর/এমএস