দেশজুড়ে

মুন্সিগঞ্জে সেই যুবদল নেতা দল থেকে বহিষ্কার, ওসি প্রত্যাহার

মুন্সিগঞ্জে শ্রীনগর থানা থেকে যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

এদিকে এ ঘটনার পর প্রত্যাহার করা হয়েছে শ্রীনগর থানার ওসি কাইয়ুম উদ্দীন চৌধুরীকে। মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার সামসুল আলম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলা দায়েরের পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ঘটনায় জড়িত ছিলেন। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অপরদিকে অভিযুক্ত যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে দলের প্রাথমিক পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘পেশিশক্তি প্রদর্শনপূর্বক রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগে তরিকুলকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের দায়দায়িত্ব দল নেবে না।’

Advertisement

শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে মারামারির মামলার এজাহারভুক্ত আসামি উপজেলা যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। রাত ১০টার দিকে থানায় প্রবেশ ও হট্টগোল করে আটকদের ছিনিয়ে নেন অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ ঘটনা ঘিরে তৈরি হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। শনিবার এ ঘটনার বিচারের দাবিতে দুপুরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ব্লকেড করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। তিন ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেন তারা। পরে বিকেলে শ্রীনগর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এতে ৩১ জনকে নামীয়সহ ১৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন জেমস, সদস্য সচিব মামনুর রশিদ, ছাত্রদল সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শুভ, সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইমদাদুল ইসলাম রজিনসহ বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতাকর্মী।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এফএ/এমএস

Advertisement