লাইফস্টাইল

শীতে গরম নাকি ঠান্ডা পানি পান করা উচিত?

শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে ভয় পান কমবেশি সবাই। তবে পান করার সময় ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার অর্থাৎ নরমাল পানি পান করতেই পছন্দ করেন। শীতকালে নরমাল পানিও বেশ ঠান্ডা থাকে তাপমাত্রার কারণে। তবে শীতের মৌসুমে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান না করাই ভালো।

Advertisement

আসলে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি অনুসারে, খাওয়া-দাওয়া পরিবর্তন করতে হয়। শীতে শরীরকে গরম রাখার জন্য গরম জিনিস বেশি খাওয়া হয়। একইভাবে, গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য ঠান্ডা জাতীয় জিনিস খাওয়া হয়।

যদিও এখন অনেকেই আছেন, যারা সব সময়ই অল্প গরম বা গরম পানি পান করেন। ঠান্ডার সময় গরম জিনিস খাওয়া উচিত যাতে স্বাস্থ্যবান থাকা যায় ও পুরো দিন শরীর হাইড্রেট থাকে।

আরও পড়ুন

Advertisement

শীতকাল কেন বিয়ের মৌসুম? ঠান্ডায় কানে যন্ত্রণা হলে দ্রুত যা করবেন

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে ঠান্ডা পানি পান করলে হজমের ওপর তার প্রভাব পড়ে। তাই প্রত্যেকের তার শরীরের তাপমাত্রা অনুযায়ী সকালে হালকা গরম পানি পান করা উচিত। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

একইভাবে অতিরিক্ত গরম পানিও শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডার মধ্যেও হালকা গরম পানি পান করুন। যার তাপমাত্রা ৬০-১০০ ফারেনহাইট (১৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের) এর মধ্যে হওয়া উচিত।

আপনি যদি খুব কাশির সমস্যায় ভোগেন, তাহলে এমন পানি পান করা উচিত যাতে সহজে কাশি বেরিয়ে আসে। তাই খুব গরম বা খুব ঠান্ডা পানি পান করবেন না। হালকা গরম পানি পান করুন। হালকা গরম পানি পান করলে শরীরের টক্সিন দূর হয়।

ঠান্ডায় বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে। এতে ঘুমের অভাব ও ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। আপনারও যদি এমন সমস্যা হয়, তাহলে কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন। তাতে আপনি অনেক স্বস্তি পাবেন।

Advertisement

সূত্র: এবিপি লাইভ

জেএমএস/এমএস