লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর চর মেঘায় সরকারি রাস্তা চষে সবজি চাষের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তাঁতীদল নেতা হেলাল সরকারকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাহজালাল মোল্লা নামে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আহত হেলাল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Advertisement
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে চররমনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হেলালকে পিটিয়ে মোটরসাইকেল, মোবাইল ও পকেটে থাকা টাকা নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
খবর পেয়ে দুপুরে সদর উপজেলা (পশ্চিম) বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক রাব্বি এলাহি জহির, সাইদুর রহমান চৌধুরী ভুট্টু হাসপাতালে হেলালকে দেখতে যান।
গ্রেফতার শাহজালাল চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
Advertisement
আহত হেলাল চররমনী মোহন ইউনিয়ন তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক ও চররমনী গ্রামের মকবুল হোসেন সরকারের ছেলে।
জানা গেছে, কৃষকের কষ্ট লাঘবে নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে সরকারিভাবে আখনকান্দি থেকে চরমেঘা পর্যন্ত ১৮ ফুট চওড়া সাড়ে ৪ কিলোমিটার একটি মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়। রাস্তাটি ব্যবহার করে কৃষকরা সুবিধা পাচ্ছিলেন। সম্প্রতি যুবলীগ নেতা এফরান মোল্লা, তার ভাই শাহ আলম ও শাহজালাল মোল্লাসহ তাদের লোকজন জোরপূর্বক রাস্তা কেটে সমতল করে ফেলেন। পরে ওই রাস্তার এক কিলোমিটার চষে তারা সয়াবিন ও মরিচ আবাদ করেন। প্রতিবাদ করতে গেলে এফরানসহ তার লোকজন মানুষকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার (২২ ডিসেম্বর) এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি মানববন্ধন করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হেলাল সরকার বলেন, রাস্তা চষে সবজি চাষের প্রতিবাদে মানববন্ধন করায় এফরানসহ তার ভাই শাহ আলম ও শাহজালাল মোল্লা লোকজন নিয়ে লাঠিসোঁটা দিয়ে আমাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে আমার মোটরসাইকেল, মোবাইল ও পকেটে থাকা টাকা নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় বক্তব্য জানতে চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য এফরান মোল্লার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
Advertisement
তবে মানববন্ধন নিয়ে রোববার এফরান মোল্লা বলেন, রাস্তাটি জোয়ার ভাটার পানিতে ধুয়ে গেছে। আর সেখানে তিনি চাষাবাদ করেননি। রাজনৈতিক কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, মারামারির ঘটনায় শাহজালাল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলা করবেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাজল কায়েস/এফএ/জেআইএম