দেশজুড়ে

গোপালগঞ্জে টেন্ডার বাক্স ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে

গোপালগঞ্জে সাভানা ইকো রিসোর্ট ও পার্কের টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় টেন্ডার বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা, সিন্ডিকেট করে টেন্ডার ড্রপ করা এবং গোলযোগ পাকানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে। এসময় টেন্ডার ড্রপ করতে আসা এক ব্যক্তিকে হেনস্তা করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের থানাপাড়া এলাকায় অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

সন্ধ্যায় এমন অভিযোগ করে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ক্রোক করা সাভানা ইকো রিসোর্ট ও পার্কের ইজারা দেওয়ার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগ্রহীরা তাদের টেন্ডার ড্রপ করতে আসেন। এসময় ছাত্রদলের সদর উপজেলার সভাপতি তাজবিরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা টেন্ডার বাক্স ছিনতাইচেষ্টা, সিন্ডিকেট করে টেন্ডার ড্রপ করা এবং গোলযোগ পাকানোর চেষ্টা করেন। এসময় তারা সিন্ডিকেট করে নিজেদের একটি টেন্ডার ড্রপ করে আর কাউকে ড্রপ করতে বাধা দেন। একজন টেন্ডার ড্রপ করতে এলে তাকে হেনস্তা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এসময় আমাদেরও হেনস্তা করা হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে সবার জন্য টেন্ডার ড্রপ উন্মুক্ত করা হয়। সারাদিনে ১৬টি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ড্রপ করে।

Advertisement

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি তাজবির হাসান বলেন, ‘আমি কোনো টেন্ডার ড্রপ করিনি। আমি ওইখান দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন দেখলাম দুদকের একজন এক রিকশাওয়ালাকে হাতে হাতকড়া দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তার প্রতিবাদ করেছি। অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রতিবাদ করার জন্য হয়তো তারা আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দিচ্ছে।’

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ওখানে ঝামেলার কথা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আশিক জামান অভি/এসআর/এএসএম

Advertisement