জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যারকেল বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে করা গ্যাস চুক্তিগুলো জার্মানির ব্যবসা ও মস্কোর সঙ্গে শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। আর ২০০৮ সালে তিনি ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে বাধা না দিলে, যুদ্ধ আরও অনেক আগেই শুরু হতে পারতো। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
Advertisement
ম্যারকেল বলেন, যদি ২০০৮ সালেই ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হতো, তাহলে সামরিক সংঘাত আরও আগে শুরু হয়ে যেতো। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এটি কোনোভাবেই মেনে নিতেন না। আর সেসময় ইউক্রেনের সামর্থ্য ও প্রস্তুতিও বর্তমান সময়ের মতো ছিল না।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির দাবি, ম্যারকেলের এই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তার মতে, ম্যারকেলের ওই পদক্ষেপ রাশিয়াকে আরও আগ্রাসী করে তুলেছিল।
ম্যারকেলের আমলে জার্মানি রাশিয়ার সঙ্গে দুইটি সরাসরি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ করেছিল। জার্মানির সাবেক এই চ্যান্সেলরের দাবি, প্রকল্পগুলোর দুটি উদ্দেশ্য ছিল- প্রথমত, জার্মানির ব্যবসায়িক স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা ও দ্বিতীয়ত, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা।
Advertisement
অন্যদিকে, জার্মানির জ্বালানি খাত এই পাইপলাইনগুলোর ওপর নির্ভরশীল। তবে ওই দুটি চুক্তিকে পুতিনের ভূ-রাজনৈতিক অস্ত্র বলে আখ্যা দিয়েছেন জেলেনস্কি।
সেসময় ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোও ম্যারকেলের রাশিয়াপন্থি নীতির কঠোর বিরোধিতা করেছিল। পোল্যান্ডের সংসদ সদস্য রাদোস্লভ ফগিয়েল বলেছেন, জার্মানির গ্যাসের টাকা রাশিয়ার যুদ্ধ তহবিলকে আরও শক্তিশালী করেছে।
ম্যারকেলের দাবি, তিনি কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়ার হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন। যদিও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। সম্প্রতি রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে জার্মানিকে এখন উচ্চ মূল্যের তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
Advertisement
এসএএইচ