মসজিদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য যে চাঁদা ও দান সংগ্রহ করা হয়, তা মসজিদের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে আমানত হিসেবে থাকে। এ টাকা মসজিদের প্রয়োজনে ব্যয় করার জন্য সর্বোচ্চ সচেতনতার সাথে হেফাজত করতে হবে। মসজিদের টাকা কাউকে ঋণ হিসেবে দেওয়া যাবে না। মসজিদের খরচের বাইরে অন্য জনকল্যাণমূলক কাজেও ব্যয় করা যাবে না।
Advertisement
বর্তমানে ব্যবসায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেহেতু লোকসানের, এমনকি কোনো কোনো সময় মূলধন খোয়া যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই মসজিদের জন্য সংগৃহীত টাকা কোনো ব্যবসায়ও বিনিয়োগ করা যাবে না।
তবে মসজিদের উন্নয়নের জন্য যে ফান্ড তৈরী করা হয়, ওই ফান্ড থেকে মসজিদের জন্য লাভজনক স্থায়ী কোনো আয়ের ব্যবস্থা করা জায়েজ। যেমন দোকান, মার্কেট ইত্যাদি ক্রয় বা নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য যে, মসজিদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থ দান করা, মসজিদ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। কোরআনে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা মসজিদকে নিজের দিকে সম্পৃক্ত করে মসজিদ নির্মাণ ও আবাদকারীদের নেক বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে বলেন,
Advertisement
اِنَّمَا یَعۡمُرُ مَسٰجِدَ اللّٰهِ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ اَقَامَ الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَی الزَّکٰوۃَ وَ لَمۡ یَخۡشَ اِلَّا اللّٰهَ فَعَسٰۤی اُولٰٓئِکَ اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُهۡتَدِیۡنَ
একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারা হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সুরা বাকারা: ১৮)
নবি ইবরাহিমকে (আ.) মসজিদ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়ার কথা বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَ اِذۡ بَوَّاۡنَا لِاِبۡرٰهِیۡمَ مَکَانَ الۡبَیۡتِ اَنۡ لَّا تُشۡرِکۡ بِیۡ شَیۡئًا وَّ طَهِّرۡ بَیۡتِیَ لِلطَّآئِفِیۡنَ وَ الۡقَآئِمِیۡنَ وَ الرُّکَّعِ السُّجُوۡدِ
Advertisement
আর স্মরণ কর, যখন আমি ইবরাহিমকে সে ঘরের (বায়তুল্লাহ) স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম, আমার সাথে কাউকে শরিক করবে না এবং আমার ঘরকে পাক সাফ রাখবে তাওয়াফকারী, রুকু-সিজদা ও দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়কারীদের জন্য। (সুরা হজ: ২৬)
ওএফএফ/এএসএম