কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, মাশরুম অত্যন্ত উপকারী খাবার। মাশরুম শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই মাশরুমকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, মাশরুম চাষ অনেক দিন ধরে হয়ে আসছে। অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এটার যদি বহুল প্রচার বাড়িয়ে জনপ্রিয় করতে পারি, তাহলে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসাণ অধিদপ্তরের মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাশরুম চাষিরা অংশ নেন।
কৃষিকে কর্মসংস্থানের হাব হিসেবে তৈরি করা দরকার উল্লেখ করে মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, কর্মসংস্থান হাব তৈরি করতে পারলে বেকার থাকবে না। আমরা সত্যিকারের গবেষণা চাই শুধু শুধু ৭৭ ধরনের গবেষণা করলে হবে না, যা দিয়ে কাজ হয় না। তিনি মাঠে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় এমন ১০ ধরনের ধানের তালিকা করার আহ্বান জানান। তাছাড়া অন্যান্য শস্যের ক্ষেত্রেও তাই করতে হবে। প্রত্যেক কৃষি ব্লক অফিসার যেন মাশরুম চাষ সম্পর্কে জানে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে মাশরুম প্রকল্প সম্পর্কে উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোছা. আখতার জাহান কাঁকন।
রাঙামাটির সুমেধ চাকমা ২০২১ সাল থেকে মাশরুম চাষ করছেন। তিনি জানান, তাদের অঞ্চলে প্রায় একশ জন উদ্যোক্তা মাশরুম চাষ করছেন। তিনি প্রতি মাসে ৫-১০ কেজি করে মাশরুম উৎপাদন করেন। এসব প্রতিকেজি সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে পারেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলমের সভাপতিত্ব আরও বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, জাকির হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সাহিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ।
এনএইচ/এমএএইচ/এমএস
Advertisement