স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৪০০ ছুঁই ছুঁই

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩৯৯ জন।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৭৪ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৭ হাজার ৬০১ জন ডেঙ্গুরোগী।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার। এছাড়া একজন চট্টগ্রাম বিভাগের ও একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা।

Advertisement

আলোচ্য সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২০৭ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৫৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬১ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৫৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ জন, রাজশাহীতে ৬৬ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আরও পড়ুন জ্বর হওয়ার কতদিনের মধ্যে কোন টেস্ট করলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে? ডেঙ্গু রোগীকে যেসব খাবার খাওয়ানো জরুরি

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৭৭ হাজার ৬০১ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৩৯৯ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৬০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়।

Advertisement

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জন মারা যান।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৮১ জন।

কেএসআর/এএসএম