নব্বইয়ের দশকে মোশাররফ করিমের অভিনয়জীবন শুরু। সেই থেকে আজ পর্যন্ত নানান রকম কাজ করেছেন তিনি। যদিও বেশির ভাগই হাস্যরসাত্মক চরিত্র। সেসবের মধ্যে বাকি ছিল অ্যান্থলজি বা অমনিবাস সিরিজ। এবারে সেটিও করে ফেললেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। নাম ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’, যেটি মূলত ভয়ের হোটেল। মূলত টিভি ধারাবাহিক থেকেই তার জনপ্রিয়তা পাওয়া। তবে নতুন এ সিরিজটি তিনি করেছেন একটি ওটিটির জন্য।
Advertisement
হ্যালোইন উপলক্ষে চরকিতে অবমুক্ত হচ্ছে ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’। ভৌতিক গল্পের এই সিরিজটি দেখা যাবে তিন পর্বে। অবমুক্ত করা হবে প্রতি সপ্তাহে একটি করে পর্ব। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছেন তিন পর্ব থেকে তিন রকমের ভয় পাবেন তারা।
‘আধুনিক বাংলা হোটেল’-এর মাধ্যমে চরকির কোনো সিরিজে প্রথমবারের মতো কাজ করলেন মোশাররফ করিম। এর তিনটি গল্পে তিন ধরনের চরিত্রে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে। অভিনেতা জানান, খাবারের নাম দিয়ে যে এমন সব গল্প হতে পারে, সেটা তার ভাবনায় ছিল না। তার দাবি, দর্শকেরা সিরিজটি দেখে বিস্মিত হবেন।
মোশাররফ করিম বলেন, ‘এই সিরিজে আমার চরিত্রগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য আমাদের আশপাশের মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়। কিছু ব্যাপার আছে, যা বাইরে থেকে বোঝা যায়, কিন্তু মনের মধ্যে চলছে, সেসব বোঝার উপায় থাকে না। এ বিষয়গুলো অভিনয়ে ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমি আমার নিজের অনুভূতি ও চিন্তাকে কাজে লাগিয়েছি।’ এর আগে তিনি চরকির ‘দাগ’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন।
Advertisement
শরীফুল হাসানের ছোটগল্প থেকে ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ সিরিজের চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন কাজী আসাদ। লেখকের ‘খাসির পায়া’ ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘খাসির পায়া’ পর্ব, ‘নো এক্সিট’ থেকে ‘হাঁসের সালুন’ ও ‘বোয়াল মাছের ঝোল’ পর্বটি নির্মিত হয়েছে ‘খাবার’ নামের একটি ছোটগল্প থেকে। কাজী আসাদ জানান, ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ সিরিজে সাইকোলজিক্যাল হরর, ফ্যান্টাসি, থ্রিলার ও মিথলজির মিশ্রণ রয়েছে।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, মোশাররফ করিম কাজে ডুবে গিয়েছিলেন। কারণ বরিশালে যখন “হাঁসের সালুন” শুট করি, তখন টানা তিন রাত আমাদের শুটিং করতে হয়েছিল। লক্ষ্য করেছি, মোশাররফ করিম যেন ফুল চার্জে, সারা রাত শুটিং করে সকালে কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে আবার শুটিং করেছেন। “খাসির পায়া”তেও একই অবস্থা। এই গল্পের প্রায় সব দৃশ্যই ছিল রাতে। আমার ধারণা, “আধুনিক বাংলা হোটেল” তার ভালো লেগেছে। এ জন্যই তিনি এত পরিশ্রম করেছেন।’
গত ৯ জুলাই ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ সিরিজে চুক্তিবদ্ধ হন মোশাররফ করিম। দুই মাস বিভিন্ন লোকেশন হয় শুটিং। সিরিজটির বিভিন্ন পর্বে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিল্পী সরকার অপু, এ কে আজাদ সেতু, নিদ্রা নেহা প্রমুখ। ৩০ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা থেকে চরকিতে দেখা যাবে সিরিজের প্রথম পর্ব ‘বোয়াল মাছের ঝোল’।
আরএমডি/এএসএম
Advertisement