সবগুলো ফরজ নামাজ জামাতের সাথে আদায়ের ব্যাপারেই যত্নবান হওয়া উচিত। বিশেষত ফজর ও ইশার নামাজের ব্যাপারে গুরুত্ব থাকা ইমান শুদ্ধ হওয়া ও মোনাফেকি থেকে দূরে থাকার লক্ষণ। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন নামাজ হলো ইশা ও ফজরের নামাজ। যদি তারা এই দুই ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব সম্পর্কে জানতো, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে আসতো। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
Advertisement
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে ফজর ও ইশার নামাজসহ যে কোনো নামাজের সময় দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হয়ে প্রথম কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মানুষ যদি আজান ও প্রথম কাতারের সাওয়াবের কথা জানতো এবং লটারি ছাড়া তা লাভের কোন উপায় না থাকতো তবে তারা এর জন্য লটারি করতো। যদি নামাজে দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার ফজিলত মানুষ জানতো, তবে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করতো। ইশা ও ফজরের সওয়াব যদি তারা জানতো, তবে তারা এ দুই নামাজের জন্য হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে আসতো। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
আবদুর রহমান ইবনু আবূ আমরা (রহ.) বলেন, একদিন উসমান ইবনে আফফান (রা.) মাগরিবের নামাজের পর মসজিদে ঢুকে একা বসে ছিলেন। আমি তার কাছে গিয়ে বসলাম। তিনি বললেন, ভাতিজা! আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছি, যে ব্যাক্তি ইশার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করল, সে যেন অর্ধরাত পর্যন্ত নামাজ আদায় করল। আর যে ব্যাক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করল সে যেন সারা রাত নামাজ আদায় করল। (সহিহ মুসলিম: ১৩৬৬)
এ হাদিসগুলো থেকে বোঝা যায় ফজর ইশার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করার ফজিলত অপরিসীম। মানুষ ইশা ও ফজরে মসজিদে উপস্থিত হয়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায়ের ফজিলত যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলে অসুস্থতা থাকলেও মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করতো। তাই আমাদের সবারই প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে আদায় করার চেষ্টা করা উচিত, অলসতা করে বাসায় বসে থাকা সমীচীন নয়।
Advertisement
ওএফএফ/এমএস