নামাজে যথাযথ মনোযোগ ও খুশুখুজু না থাকলে, একাগ্র মনে আল্লাহমুখী হয়ে নামাজ না পড়লে নামাজের সওয়াব পুরোপুরি পাওয়া যায় না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এমন অনেক লোক আছে যারা নামায পড়ে কিন্তু তাদের নামায পুরাপুরি কবুল না হওয়ায় পূর্ণ সওয়াব তারা পায় না। তাদের কেউ দশ ভাগের এক ভাগ, কেউ নয় ভাগের এক ভাগ, আট ভাগের এক ভাগ, সাত ভাগের এক ভাগ, ছয় ভাগের এক ভাগ, পাঁচ ভাগের এক ভাগ, চার ভাগের এক ভাগ, তিন ভাগের এক ভাগ বা দুই ভাগের এক ভাগ সওয়াব পেয়ে থাকে। (সুনানে আবু দাউদ)
Advertisement
সুতরাং নামাজ যে কোনোভাবে আদায় করে ফেললেই হয়ে যায় না। যথাযথ মনোযোগ ও প্রাণ না থাকলে হতে পারে ওই নামাজের এক দশমাংশ সওয়াবও আপনি পাচ্ছেন না। ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, আল্লাহর সামনে নিস্প্রাণ মৃত ইবাদত পেশ করতে আমাদের লজ্জা পাওয়া উচিত।
নামাজে মনোযোগী হতে যা করবেন
১. ভাবুন আপনি আল্লাহকে দেখছেন অথবা আল্লাহ আপনাকে দেখছেন
Advertisement
নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহকে সামনে উপস্থিত ভাবার চেষ্টা করুন এবং যে আপনি আল্লাহকে দেখছেন। এটা ভাবতে না পারলে এই অনুভূতি জোরালোভাবে অন্তরে আনুন যে আল্লাহ আপনাকে দেখছেন। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এমনভাবে ইবাদত করো যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ, তুমি যদি আল্লাহকে না-ও দেখো তবে আল্লাহ তো তোমাকে অবশ্যই দেখছেন। (সহিহ মুসলিম: ৮)
২. নামাজের কেরাত ও দোয়াগুলো অর্থ বুঝে পড়ুন
নামাজে যে কেরাত ও দোয়া ও তাসবিহ আমরা নিয়মিত পাঠ করি, তা অর্থসহ শিখুন। ছোট কিছু সুরা অর্থসহ শিখুন। নামাজের কেরাত, দোয়া ও তাসবিহ অর্থ বুঝে বুঝে পাঠ করুন। ইমামের সাথে নামাজ পড়লে ইমাম কেরাত পড়ার মনোযোগ দিয়ে শুনুন ও অর্থের দিকে খেয়াল করুন।
৩. ভাবুন এটি আমার জীবনের নামাজ
Advertisement
আমাদের মৃত্যু কবে হবে আমরা জানি না। তাই আমরা সব সময়ই মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে আছি। যে কোনো সময় আমাদের মৃত্যু হতে পারে। নামাজের সময় ভাবুন হতে পারে এ নামাজটিই আপনার জীবনের শেষ নামাজ। এই জীবনে আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর সুযোগ আপনি আর নাও পেতে পারেন। আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলের (সা.) কাছে এসে বললো, আল্লাহর রাসুল! আমাকে সংক্ষেপে দীনের কিছু কথা বলে দিন। রাসুল (সা.) বললেন, নামাজ পড়ার সময় এমনভাবে পড়ো যেন এটাই তোমার জীবনের শেষ নামাজ। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪৭১)
ওএফএফ/জেআইএম