জাতীয়

‘ঘরে সোনা রাখলে সন্তান হবে না’ বলে গহনা হাতিয়ে নিতো চক্রটি

‘ঘরে সোনা রাখলে সন্তান হবে না’ বলে গহনা হাতিয়ে নিতো চক্রটি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘বাচ্চা না হওয়া সংক্রান্ত’ একটি বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়েন নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা আফরোজা বেগম। এরপর বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করলে ‘ঘরে সোনা রাখলে সন্তান হবে না’ জানিয়ে তার কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে হাতিয়ে নেওয়া হয় ১৫ ভরি সোনা ও ১০ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন সরঞ্জাম।

Advertisement

মোহাম্মদপুরের বছিলা ও সাভার থেকে অনলাইনে অভিনব কৌশলে এমন প্রতারণা করা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে ৮৫ ভরি সোনা এবং তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ মে) সকালে ডিএমপির রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) তারিক লতিফ এসব তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, এই চক্রের খপ্পরে পড়ে ১৫ ভরি সোনা ও ১০ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল খুইয়ে এক ভুক্তভোগীর নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তকালে শুক্রবার (১৬ মে) ৮৫ ভরি সোনা উদ্ধারসহ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন ৭ দিনে সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ২০০, অস্ত্র-বোমা উদ্ধার প্রতারক চক্রের খপ্পরে দুই শাড়ি ব্যবসায়ী, গ্রেফতার ৪

তারিক লতিফ বলেন, নিউমার্কেট এলাকায় বসবাসকারী আফরোজা বেগম নামের একজন নারী ফেসবুকে ‘বাচ্চা না হওয়া সংক্রান্ত’ একটি বিজ্ঞাপন দেখে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে প্রতারকরা ভিকটিমকে জানায়, তার ঘরে বা ব্যবহৃত কোনো সোনা থাকলে বাচ্চা হবে না। সেই কথা বিশ্বাস করে ভিকটিম প্রতারকদের কাছে তার ব্যবহৃত ১৫ ভরি সোনা ও ১০ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন সরঞ্জাম এসএ পরিবহনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু সোনা ও মালামাল হাতে পেয়েই প্রতারকরা ওই নারীকে ব্লক করে দেয়।

এ ঘটনায় আফরোজা বেগম বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গত শুক্রবার নিউমার্কেট থানার এসআই ফিরোজ আহম্মেদ ও তার সঙ্গীয় ফোর্স সাভার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে সেখান থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মাদপুর থানাধীন বছিলা এলাকার ৪০ ফিট থেকে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আসামিদের বাসা থেকে ৮৫ ভরি সোনা, তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার তিন আসামি ও উদ্ধার মালামালের বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা তারিক লতিফ। এছাড়া চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

কেআর/এএমএ/এএসএম