দেশজুড়ে

বগুড়ায় তেল-গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা, চলছে অনুসন্ধান

বগুড়ায় খনিজ সম্পদ পাওয়ার আশায় অনুসন্ধান চালাচ্ছে রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। জেলার সারিয়াকান্দি, গাবতলী ও সদর এলাকায় এ অনুসন্ধান চলছে। বাপেক্স কর্মকর্তরা বলছেন, বগুড়ার এই অঞ্চলে গ্যাস অথবা তেল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা থেকে তারা বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।জানা যায়, ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৫ সালের দিকে বাপেক্সের একটি দল গাবতলী উপজেলার কলাকোপার তল্লাতলা গ্রামে অনুসন্ধান কাজ শুরু করেছিল। ওই সময় ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই বছর অনুসন্ধান চলাকালে মাটি খনন করে দেখা হয়। পরে অনুসন্ধানকারী দল আবারো মাটি ভরাট করে ও সিমেন্ট বালু দিয়ে পাইপের সুরঙ্গের মুখ বন্ধ করে দিয়ে যায়।এই এলাকার প্রবীন ব্যক্তি মো. শাজাহান আলী জানান, ১৯৮৭ সালে মাটি খনন করার পর গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা শুনেছিলাম। পরে সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়ার পর ওই এলাকায় ধীরে ধীরে বসতবাড়ি গড়ে উঠেছে। প্রায় ২৭ বিঘা জমির উপর এ অনুসন্ধান কাজ চলছিল। এসব জায়াগায় এখন ঘরবাড়ি ছাড়াও কিছু চাষবাসের জমি রয়েছে।খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে আসা বাপেক্সের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নতুন করে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের কাজ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৪ মার্চ থেকে আবারো কাজ শুরু হয়েছে। তারা বলছেন, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সদর ও শাজাহানপুর এলাকায় এ অনুসন্ধান কাজ অব্যাহত রয়েছে।বাপেক্সের সহকারী ম্যানেজার সামসুল হুদা পারভেজ বলেন, তাদের মূল কাজ চলছে এখন যমুনা নদীর পূর্ব প্রান্তে জামালপুরের মাদারগঞ্জে। সেখানে মাটির প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন নদীর তলদেশ হয়ে সারিয়াকান্দি ও গাবতলী পয়েন্টে মাটির ধরন একই রকম হওয়ায় তারা এই অঞ্চল সার্ভে করছে।জানানো হয়, মাটির নিচে প্রায় ৭৫ মিটার খনন করার পর সেগুলো বিষয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। পরীক্ষার পর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাপেক্স। আপাতত শুধু পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে। তবে তারা বলছেন, এখানে তেল অথবা গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।পেট্রোবাংলার জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ উদ্দিন মৃধা জানান, এখনো আমরা নিশ্চিত না যে কী পাওয়া যাবে, তবে অনুসন্ধান চলছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত বগুড়ায় এই অনুসন্ধানের কাজ চলবে। বাপেক্সের ৪০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এই অনুসন্ধান কাজে অংশ নিচ্ছেন।লিমন বাসার/বিএ

Advertisement