কৃষি ও প্রকৃতি

মার্চ-এপ্রিলে আমের পরিচর্যা

বর্তমান সময়ে আম গাছের জন্য করণীয় জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস। সংস্থাটি বলছে, এসময়ে ফলের বৃদ্ধি পর্যায়ের নানা ধরনের পোকার আক্রমণ হতে পারে।

Advertisement

মার্চ মাসে করণীয়আগাম ফল ঝরে পড়া রোধ করার জন্য প্ল্যানোফিক্স ৩ থেকে ৪ এমএল/১০ লিটার পানি অথবা ন্যাপথালিন এসিটিক এসিড (NAA) ২০ পিপিএম (২০ মিলিগ্রাম/লি.) হারে স্প্রে করতে হবে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বার। ফুল আসার পর গাছ প্রতি ৩০ থেকে ৫০ কেজি গোবর ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম টিএসপি এবং ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম পটাশ প্রয়োগ করে সেচ প্রদান করতে হবে।

আম পরিপক্ক হওয়ার ১ মাস পূর্বে আমের মাছি পোকার আক্রমণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ফল সংগ্রহের অন্তত একমাস পূর্বে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ বা ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। উক্ত পোকাগুলোর আক্রমণ হলে ফেনিট্রোথিয়ন বা ফেনথিয়ন গ্রুপের কিটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলিলিটার হারে মধ্য মার্চ হতে ১৫ দিন অন্তর ২/৩ বার স্প্রে করতে হবে।

এপ্রিল মাসে করণীয়ফল ফেটে যাওয়া রোধ করার জন্য বোরাক্স ৪ গ্রাম/প্রতি লিটার পানি অথবা লিবরেল বোরন ২ গ্রাম/প্রতি লিটার পানি হারে ১৫ দিন পর পর ২ থেকে ৩ বার স্প্রে করতে হবে। লিবরেল জিংক ১ গ্রাম/প্রতি লিটার হারে ১৫ দিন পর পর ২ থেকে ৩ বার স্প্রে করতে হবে। ফুলের রং পরিবর্তন হওয়ার আগ পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় ৭ দিন পর পর নিমবিসিডিন স্প্রে করতে হবে এবং সেচ প্রদান করতে হবে।

Advertisement

এপ্রিলের প্রথম দিকে ফল ছিদ্রকারী পোকা (স্ত্রী পোকা) আমের ত্বকে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে তা শাঁস খেতে খেতে পূর্ণাঙ্গ পোকায় পরিণত হয়ে ফল পাকার সময় বা তার কিছু আগে গোলাকার ছিদ্র করে বের হয়ে আসে এ পোকা দমনের জন্য আমে গুটি বাঁধার ১০ থেকে ১৫ দিন পর প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ মিলি লিটার ডায়াজিনন ৫০ তরল অথবা ১৫ মিলি লিটার ডাইমেক্রন ১০০ তরল মিলিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ থেকে ৩ বার স্প্রে করতে হবে।

আম মটর দানাকৃতি হলে উইভিল ও ফলছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আমের ফল ঝরা রোধে ১০ লিটার পানিতে ২০০ গ্রাম ইউরিয়া মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।

এনএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম

Advertisement