লাইফস্টাইল

শীতকালে প্রতিদিন গোসল না করলে কী হয়?

শীতকালে আবহাওয়া অত্যধিক ঠান্ডা থাকলে কমবেশি সবাই গোসল করতে ভয় পান! বিশেষ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসলের কথা কেউ ভাবতেও পারেন না!

Advertisement

আসলে শীতে বেশিরভাগ মানুষই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন, এ কারণে ঠান্ডা পানি সবাই এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো মনে করেন।

শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসলের অভ্যাস কি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়?

তবে গরম পানি দেখলে এ সময় সবাই স্বস্তি পান। বেশিরভাগ মানুষই শীতে গরম পানিতে দিয়েই গোসল সারেন। আবার অনেকে দুদিন কিংবা চারদিনও গোসল না করেই পার করে দেন।

Advertisement

কখনো ভেবে দেখেছেন, দিনের পর দিন গোসল না করলে কী হয়? চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত গোসল করলে শরীর পরিষ্কার থাকে, এমনকি শরীরে জমে থাকা বিভিন্ন জীবাণু ও ময়লাও সহজে পরিষ্কার হয়ে যায়।

শীতে গরম নাকি ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধোবেন?

তবে শীতে দৈনিক গোসল না করলেও স্বাস্থ্যের ততটা ক্ষতি হয় না। আমেরিকার চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন গোসল না করলেও চলে, যদি আপনার শরীরে নোংরা না জমে।

আসলে গোসল নিয়ে বিশ্বের সব স্থানেই আছে সামাজিক ছুতমার্গ। নিয়মিত গোসল না করার কথা শুনলে অনেকেই মনে করেন, অন্য ব্যক্তি নোংরা। এটি একটি ভুল ধারণা।

Advertisement

গোসলের কোন ভুলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক জানালো গবেষণা

শীতে গরম পানিতে বেশিক্ষণ গোসল করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়, এমনটিই মত বিশেষজ্ঞদের। এ সময় অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসলের ফলে অনেকেই চর্মরোগে ভোগেন।

বিশেষ করে অ্যাজমা, সোরিয়াসিস, দাদ’সহ বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ বেড়ে যায় শুধু গরম পানিতে গোসলের কারণে। এসব চর্মরোগের স্থান গরম পানিতে আসলে আরও শুষ্ক হয় ও ক্ষত বাড়ে।

গোসলের সঠিক সময় কখন?

এ কারণে দৈনিক গরম পানিতে গোসল করলেও ১০ মিনিটের বেশি সময় ধরে না করাই ভালো বলে মনে করেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা।

গোসল না করলে কিছু ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় শরীরে। এ সময় ত্বক ভালো রাখতে সেসব ব্যাকটেরিয়া খুব জরুরি। গোসল করলে সেই ব্যাকটেরিয়াগুলো চলে যায়।

খাওয়ার পর গোসল করলে কী হয়?

তাই শীতকালে সপ্তাহে ২-৩ বারের বেশি গোসল না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চর্মরোগ চিকিৎসকরা। এমনকি এ সময় বেশি গোসল করলে নখেরও ক্ষতি হয়। কারণ এই মৌসুমে নখ আরও ভঙ্গুর হয়ে ওঠে।

আবার শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসলের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কখনো ঠান্ডা পানি শরীরে হঠাৎ করে ঢালবেন না। প্রথমে স্বাভাবিক পানি ঢালুন তারপর আস্তে আস্তে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে পারেন। তবে হৃদরোগীদের ঠান্ডা পানিতে গোসল না করাই ভালো।

নিয়মিত গোসল করার উপকারিতা জানেন তো?

যদিও ঠান্ডা পানিতে গোসলের কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও আছে। নেদারল্যান্ডসের ৩ হাজার অংশগ্রহণকারীর উপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তাদের অসুস্থতার কারণে কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার সম্ভাবনা ২৯ শতাংশ কম ছিল অন্যদের তুলনায়।

অন্যান্য গবেষণায় জানা গেছে, ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। এছাড়া শরীরের প্রদাহও কমে। অনেক চিকিৎসকদের মতে, ঠান্ডা পানির ঝরনা দীর্ঘায়ু বাড়ায়। এমনকি বিপাকক্রিয়াও উন্নত করে।

হার্টের রোগীরা গরম না ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন?

তবে অধ্যধিক ঠান্ডা ঠান্ডা পানি ও গরম পানি মিশিয়ে গোসল করুন, তবে পানি যেন বেশি ঠান্ডা বা গরম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া

জেএমএস/এমএস