ভ্রমণ

ঢাকার খুব কাছেই ঘুরে আসুন মায়াদ্বীপে

ঢাকার আশপাশে যারা একদিনেই ঘুরে আসতে চান, তাদের জন্য সেরা এক স্থান হতে পারে মায়াদ্বীপ। নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, দ্বীপটি কতটা সুন্দর।

Advertisement

এই দ্বীপে গেলে এর মায়া কাটিয়ে সেখান থেকে ফিরতে ইচ্ছে হবে না আপনার। চাইলে পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে একদিনের ট্যুরে বা এক বিকেল কাটিয়ে আসতে পারেন প্রকৃতির কোলে।

মায়াদ্বীপের অবস্থান নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক গ্রামে। আজ থেকে প্রায় শত বছর আগে মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠে মায়াদ্বীপ।

ঈশা খাঁ একসময় যেখানে বাংলার রাজধানী স্থাপন করেছিলেন, সেখান থেকে নদীপথে মায়াদ্বীপের দুরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। স্থানীয়দের কাছে এ দ্বীপ নুনেরটেক নামেই বেশি পরিচিত।

Advertisement

যা যা দেখবেন

মায়াদ্বীপে গেলে মেঘনা নদীতে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও বেশ মনোরম। আর এ কারণেই প্রকৃতির টানে দূরদূরান্ত থেকে বহু পর্যটক ছুটে আসেন এই দ্বীপে।

যদিও বর্ষাকালে দ্বীপটি পানিতে তলিয়ে যায়। তবে বর্ষা শেষে পানি শুকাতেই আবারও ভেসে ওঠে মায়াদ্বীপ। মেঘনার বুকে ভেসে থাকা এই দ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় এখনই অর্থাৎ শীতকাল।

মায়াদ্বীপে কীভাবে যাবেন?

Advertisement

রাজধানী থেকে মায়াদ্বীপ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথমে যেতে হবে গুলিস্তান। তারপর সেখান থেকে বাসে চড়ে যেতে হবে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা। বাসে জনপ্রতি ভাড়া গুনতে হবে ৫০-৬০ টাকার মতো।

তারপর মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা থেকে যেকোনো অটোরিকশা নিয়ে চলে যান বারদী বৈদ্যেরবাজারে। তারপর বারদী বৈদ্যেরবাজারে এসে মেঘনা নদীর ঘাটে চলে যান।

সেখান থেকে ২০০-৩০০ টাকা ঘণ্টা কিংবা ১২০০-১৫০০ টাকায় দিন চুক্তিতে একটি নৌকা বা ট্রলার ভাড়া করে ঘুরতে পারবেন মায়াদ্বীপে। মায়াদ্বীপ পৌঁছাতে সময় লাগবে ২০-২৫ মিনিটের মতো। কেউ যদি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যেতে চান, তাহলেও যেতে পারেন। এখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো।

মায়াদ্বীপে সময় কাটানোর ইচ্ছে থাকলে কিছু শুকনো খাবার সঙ্গে নিয়ে নিন। মায়াদ্বীপে আসার পথে বারদী বৈদ্যেরবাজারেই আনুষঙ্গিক সবকিছু পেয়ে যাবেন। মায়াদ্বীপ ভ্রমণে দলবেঁধে যাওয়াই ভালো। স্থানটি নিরিবিলি হওয়াই একা বা দুজন না যাওয়াই ভালো।

জেএমএস/জিকেএস