কৃষি ও প্রকৃতি

কমলা চাষে ৩ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন ইউসুফ আলীর

যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ যাদবপুর গ্রামে চায়না কমলা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন চাষি ইউসুফ আলী। তার তিন বিঘা জমির প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় কমলা ধরেছে। কমলা আকারে বড় এবং খুব মিষ্টি। প্রতিদিন তা দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকার চাষি। ভালো ফলন দেখে উৎসাহী হয়ে অনেকেই চাষের উদ্যোগ নিচ্ছেন।

Advertisement

মহেশপুর থেকে বাগান দেখতে আসা মিনানুর হোসেন বলেন, ‘দেশের আবহাওয়া অনুকূল না হওয়ায় সাধারণত চায়না কমলার ফলন ভালো হয় না। কিন্তু আমাদের সে ধারণা পাল্টে দিয়েছেন নাভারণ যাদবপুরের ইউসুফ আলী। তার বাগানের প্রতিটি গাছে কমলা দেখে অবাক হয়েছি।’

গদখালী থেকে আসা আলী হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে এত সুন্দর মিষ্টি ও সুস্বাদু কমলা হতে পারে ধারণা ছিল না। ইউসুফের বাগানে না এলে তা বুঝতে ও জানতে পারতাম না । এখানে এসে গাছে ফল দেখে খুবই ভালো লাগছে।’

চাষি ইউসুফ আলী বলেন, ‘দুই বছর আগে তিন বিঘা জমিতে ৩৫০টি কমলার চারা দিয়ে বাগান গড়ে তুলি। বাগানে কাজ করছে ১০-১৫ জন শ্রমিক। ভালো পরিচর্যার কারণে ফলনও ভালো হয়েছে। মাত্র দুই বছরে প্রতি গাছে প্রায় ৪০-৫০ কেজি ফলনের আশা করছি।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত চায়না কমলা বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে বছরে ২-৩ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তাই বিপুল অর্থ খরচ করে দেশের বাইরে না গিয়ে তরুণ, বেকার এবং শিক্ষিত যুবকদের চায়না কমলার বাগান করার পরামর্শ দিচ্ছি।’

ইউসুফ আলী আরও বলেন, ‘কৃষি বিভাগ যদি এ চাষের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দেয়, তাহলে মানুষের মধ্যে চায়না কমলা চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হবে। ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে কমলার উৎপাদন বাড়বে। যা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।’

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। চায়না কমলা চাষের জন্য চাষিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তারা এগিয়ে এলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।’

মো. জামাল হোসেন/এসইউ/এমএস

Advertisement