জাগো জবস

বাংলালিংকে বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে: আংকিত সুরেকা

আংকিত সুরেকা বেসরকারি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড সাস্টেনিবিলিটি পদে কর্মরত। তিনি সম্প্রতি বাংলালিংকে কর্মসংস্থান ও কর্মী নিয়োগের বিষয়ে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অনন্যা আক্তার—

Advertisement

জাগো নিউজ: প্রথমেই আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাই। এখানে কোন ধরনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আছে?আংকিত সুরেকা: বাংলালিংক দেশের অন্যতম একটি ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সেবার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বাংলালিংকে বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। তড়িৎ প্রকৌশলী, কম্পিউটার প্রকোশলী, বিপণন কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক, আইনজীবী ও মানবসম্পদ কর্মকর্তা ছাড়াও অন্যান্য পেশাজীবীরা এখানে কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া ডিজিটালাইজেশনের ফলে ডেটা অ্যানালিটিকস্, এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ও আইওটি (ইন্টারনেট অব থিঙ্কস) ইত্যাদি বিষয়ের ওপর দক্ষ পেশাজীবীদেরও প্রয়োজন হয় আমাদের প্রতিষ্ঠানে।

জাগো নিউজ: আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কেমন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন?আংকিত সুরেকা: বাংলালিংকে কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা হয়। আমাদের কর্মীরা স্বাস্থ্য বীমা, পারফরম্যান্স বোনাস, ওয়ার্ক ফ্রম হোম, পেশাগত সহায়তা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, শারীরিক-মানসিক সুস্থতার জন্য জিম ও অফিসে শিশুদের পরিচর্যার মতো নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।

জাগো নিউজ: বাংলাদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কী ধরনের গ্যাপ আছে বলে মনে করেন, যেটা একজন ভালো কর্মী বাছাইয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে—আংকিত সুরেকা: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু বিষয় অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যেমন- অনেক উপযুক্ত চাকরিপ্রার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে জানতে পারেন না। চাকরিদাতা ও চাকরিপ্রার্থী—উভয়পক্ষকেই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। বর্তমানে পত্রিকা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া—অনেক জায়গায়ই চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। চাকরিদাতাকে বুঝতে হবে, ঠিক কোন মাধ্যমগুলো বেছে নিলে বেশিসংখ্যক চাকরিপ্রার্থীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব। একজন চাকরিপ্রার্থীকেও তার প্রত্যাশিত চাকরির বিজ্ঞপ্তির জন্য উপযুক্ত সব মাধ্যমে নজর রাখতে হবে।

Advertisement

জাগো নিউজ: কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দিয়ে থাকেন?আংকিত সুরেকা: একজন চাকরিপ্রার্থীর বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর পাশাপাশি তার উদ্ভাবনী চিন্তার দক্ষতা এবং দলবদ্ধভাবে কাজ করার মনোভাবকেও আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। একজন কর্মী আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন কি না, সেটাও আমাদের কাছে একটি প্রধান বিবেচ্য বিষয়।

জাগো নিউজ: কর্মী হিসেবে যোগদানের আগে কোন কোন বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত?আংকিত সুরেকা: কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগদানের আগে সেটা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানটির কাজের ধরন ও পরিধি সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। সেটি কোন ধরনের সেবা বা পণ্য দিয়ে থাকে, তা জেনে নেওয়া জরুরি। আপনার নিজস্ব ক্যারিয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। এ ছাড়া তরুণ কর্মীদের দেখে নিতে হবে, যেখানে তারা যোগ দিতে যাচ্ছেন; সেখানে কাজ শেখার সুযোগ কতটা পাওয়া যাবে। কোনো চাকরিতে যোগদানের আগে খুব সতর্ক থাকতে হবে। আপনার চাকরির প্রয়োজন থাকলেও হঠাৎ করে না বুঝেশুনে কোথাও যোগ দেওয়া ঠিক নয়।

জাগো নিউজ: চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?আংকিত সুরেকা: একজন চাকরিপ্রত্যাশীকে প্রথমে সঠিকভাবে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। ঠিক কোন ধরনের কাজে সে দক্ষ, তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, চাকরির বাজারের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। শিক্ষাজীবন থেকেই এর প্রস্তুতি ধীরে ধীরে শুরু হওয়া উচিত বলে মনে করি। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল থাকলে চলবে না। শিক্ষাজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টার্নশিপ ও পার্টটাইম জবের সুযোগ থাকলে গ্রহণ করা উচিত। এ ছাড়া পেশাগত দক্ষতার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যেতে পারে। যেমন- বাংলালিংক ইনোভেটর্সের ৬ষ্ঠ আসর শুরু হয়েছে। অনেকেই আছেন, যারা এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলালিংকে এসেছিলেন এবং এখন বাংলালিংকে কাজ করছেন। ধৈর্যের সঙ্গে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে গেলে অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়া সম্ভব।

এসইউ/জেআইএম

Advertisement