সিলেট বিভাগে বন্যায় হাজারো ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে অসহায়দের মাঝে সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলোও এগিয়ে এসেছে।
Advertisement
মাস্তুল ফাউন্ডেশন বন্যাপরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ১০০০টি ঘর নির্মাণ, ৫০টি টিউবওয়েল নির্মাণ, ৫০টি টয়লেট নির্মাণ ও ১০০০ পরিবারকে স্বাবলম্বী করার। যে কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
গত ২৭ জুলাই দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে অর্ধশত বানভাসি পরিবারের মাঝে ঘর নির্মাণের সামগ্রী দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি মাস্তুল ফাউন্ডেশনকে কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বানভাসি পরিবারগুলোকে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক সংগঠনগুলো এগিয়ে আসায় অসহায় মানুষ আরও বেশি উপকৃত হবে। মাস্তুলকে ধন্যবাদ বানভাসিদের পাশে এগিয়ে আসার জন্য।’ পুনর্বাসনে প্রতিটি পরিবারকে ২ বান টিন ও ২০টি বাঁশ দেওয়ার পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক খরচ দেওয়া হয়। এ ছাড়া স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে রিকশা, সেলাই মেশিন, ভ্যান, ফসলের বীজ, ধানের বীজ, ছাগল, গরু, ভেড়া, হাঁস-মুরগি ও নৌকা দেওয়া হবে।
Advertisement
জানা যায়, সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাস্তুল ফাউন্ডেশন থেকে ১২ হাজার পরিবারকে শুকনো খাবার, চাল-ডাল, ৮ হাজার পরিবারকে কোরবানির মাংস, ৫ হাজার পরিবারকে মেডিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ এবং সমাজসেবা অধিদপ্তর।
এ ছাড়া সারাবছর মাস্তুল ফাউন্ডেশন বেশ কিছু প্রকল্প পরিচালনা করে। তার মধ্যে চাইল্ড স্পন্সরশিপ, এতিমখানা, মাস্তুল স্কুল, পথশিশুদের নিরাপদ খাদ্য কর্মসূচি, স্বাবলম্বী প্রজেক্ট, ফ্রি অক্সিজেন সেবা, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবং দাফন-কাফন প্রজেক্ট অন্যতম।
মাস্তুলের সেবা নিতে পারেন দেশের যে কোনো জনগণ। অসহায় ও গরিবদের জন্য ফ্রি অক্সিজেন ও অ্যাম্বুলেন্স সেবার প্রয়োজনে যোগাযোগ করা যাবে ০১৭৩০৪৮২২৭৯ নম্বরে। এমনকি সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে।
এসইউ/জিকেএস
Advertisement