ফিচার

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ কানে তানাকা

অনেক সময়ই গ্রামে দাদা-নানাদের বয়স শুনতে গেলে জানা যায় তাদের বয়স কারও কারও প্রায় ১০০ বছর। অবাক হয়ে যান বেশিরভাগ সময়। খানিকটা বিস্মিত না হয়ে উপায় কি! যেখানে আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু পুরুষ ৭১, নারী ৭২। সেখানে ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকা ভাগ্যের ব্যাপার বৈকি!

Advertisement

তবে জানেন কি? এরচেয়ে অনেক বেশি বছর পর্যন্ত বেঁচেছেন বিশ্বের অনেক মানুষ। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হচ্ছেন কানে তানাকা। গিনেজ বুকের রেকর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ এই নারী। তার বয়স ১১৯ বছর।

বিশ্বের সবেচেয়ে বয়স্ক মানুষের বয়স ১১৮ বছর। তার নাম জুলিয়া ফ্লোরস কোলকিউ। তিনি একজন নারী। মাত্র দুদিন আগেই ১১৯ বছর পূর্ণ করেছেন এই জাপানী নারী।

কানে তানাকা ১৯০৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯ বছর বয়সে একজন চাল ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন তিনি। ১০৩ বছর পর্যন্ত তারা সংসার করেছেন একসঙ্গে। স্বামীর মৃত্যুর পর তানাকা একটি ওল্ডহোমে থাকছেন। মাঝে মাঝে ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিরা দেখা করতে আসেন।

Advertisement

তানাকা বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু। তার জীবন ৪৯টি গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তানাকা তার অতীত নিয়ে খুব একটা ভাবেন না। প্রতি মুহূর্তে তিনি বেঁচে থাকাটা উপভোগ করেন। তানাকা ফুকুওকা প্রিফেকচারের একটি নার্সিং হোমে বসবাস করছেন। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে ২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এই স্বীকৃতি নতুন করে দেন স্পেনের স্যাটার্নিনো দে লা ফুয়েন্তে গার্সিয়াকে। তার বয়স এখন ১১২ বছর। তিনি ১৯০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে পেশায় ছিলেন একজন জুতা মেরামতকারী।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একটি প্রতিবেদনে তিনি বলেন, দীর্ঘ জীবনের রহস্য হল, একটি শান্ত জীবন যাপন করা। কাউকে আঘাত করবেন না। সবসময় নিজেকে ভালোবাসুন।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষের সংখ্যা জাপানে। সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যানে জানা যায়, শতবর্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী, যেখানে পুরুষের সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার বেশি। নারীদের সংখ্যা ৮৬ হাজারেরও বেশি।

Advertisement

১৯৬৩ সালের বার্ষিক জরিপে দেখা যায় জাপানে মাত্র ১৫৩ জন শতবর্ষী ছিল। কিন্তু ১৯৯৮ সালে এসে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ হাজারে। তবে জাপানের নিম্ন জন্মহার বাড়ানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টার মধ্যে তরুণদের সংখ্যা কমছে। বেড়ে চলেছে শতবর্ষীদের সংখ্যা।

সূত্র: সিএনএন

কেএসকে/জিকেএস