লাইফস্টাইল

শীতে গুড় খেলে দূরে থাকবে ৭ রোগ

শীত আসতেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে গুড়ের মিষ্টি সুবাস। কারণ এ সময় পিঠা-পুলি তৈরির ধুম পড়ে যায় ঘরে ঘরে। আর পিঠা বা পায়েসের স্বাদ গুড় ছাড়া ঠিক জমে না! এগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত হয় নলেন, আখ বা খেজুরের গুড়।

Advertisement

পুষ্টিবিদদের মতে, রস থেকে তৈরি প্রাকৃতিক গুড়ে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। খেজুরের গুড়ে এমন অনেক ওষুধি গুণ থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

আন্তর্জাতিক জার্নাল অব আয়ুর্বেদের তথ্যমতে, প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় গুড় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর মিষ্টি হিসেবেই নয়, এতে আছে অনেক খনিজ উপাদানও। খেজুর গুড়ে থাকে- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়ম ও ফসফরাস। এমনকি জিংক, তামা, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন ও নিয়াসিনও আছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, গুড়ে ভিটামিন বি, উদ্ভিদ প্রোটিন, ফাইটোকেমিক্যালস ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। যেহেতু শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা হলেও কমে যায়, তাই এ সময় খাদ্যতালিকায় নিয়মিত গুড় রাখলে আর চিন্তা করতে হবে না। জেনে নিন শীতে গুড় খেলে দূরে থাকবে যেসব রোগ-

Advertisement

>> নিয়মিত অল্প করে গুড় খেলে শরীরে দীর্ঘক্ষণ অ্যানার্জি মেলে। এ ছাড়াও খাবার দ্রুত হজম হয় ও বদহজমজনিত সমস্যাও দূর হয়। তে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।

>> খেজুরের গুড়ে থাকা ওষুধি উপাদান মাইগ্রেনের সমস্যা কমায়। যারা প্রচণ্ড মাইগ্রেনের ব্যথায় কষ্ট পান তারা নিয়মিত অল্প করে গুড় খেতে পারেন।

>> শীতে কমবেশি সবাই শুকনো কাশি, ঠান্ডা, অ্যাজমায় ভোগেন। এসব প্রতিরোধে খেজুরের গুড় দুর্দান্ত কাজ করে। এ ছাড়াও জমে থাকা কফ দূর করে শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ পরিষ্কার রাখে গুড়।

>> খেজুর গুড়ে আছে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম। যা শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। নিয়মিত অল্প পরিমাণে গুড় খেলে ধীরে ধীরে অতিরিক্ত ওজন কমতে শুরু করে।

Advertisement

>> এ ছাড়াও গুড়ে থাকে পর্যাপ্ত আয়রন। যা শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রেখে রক্তশূন্যতা দূর করে। এ ছাড়াও এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ুর কাজও ঠিক রাখে।

>> নারীদের পিরিয়ডকালীন পেট ব্যথা দূর করতে খেজুরের গুড় দুর্দান্ত কাজ করে। এ ছাড়াও শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে নলেন গুড়।

>> শীতে শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে খেজুরের গুড়। এমনকি এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট রক্তের সঙ্গে দ্রুত মিশে যায় ও দীর্ঘক্ষণ থাকে। ফলে হঠাৎ শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার ভয় নেই।

গুড়ের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। তাই বলে অতিরিক্ত গুড় খাবেন না। এতে ওজন বেড়ে যেতে পারে। অল্প পরিমাণে গুড় দৈনিক খেতে পারেন, এতে বরং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। আর অবশ্যই ডায়াবেটিস রোগীরা গুড় খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

জেএমএস/জিকেএস