খেলাধুলা

কৃতিত্ব সবার মাঝে ভাগ করে দিলেন মাশরাফি

টুর্নামেন্টের শুরুতে সবচেয়ে কম আলোচনায় ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। খোদ ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরাও দলকে নিয়ে সরাসরি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অথচ সেই কুমিল্লাই এবারের আসরের ফাইনালে, তাও আবার সবার আগে। কুমিল্লার এই অভাবনীয় সাফল্যের রহস্য উন্মোচন করেলেন দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। জানান, দলগত পারফরমেন্সেই কুমিল্লার জয়ের মূলমন্ত্র।সোমবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাফল্যের রহস্য জানাতে আইপিএলের উদাহরণ টেনে মাশরাফি বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা খুব ভালো খেলেছি। এটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আইপিএলের দিকে তাকান, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অন্যতম সেরা দল। প্রত্যেক বছরই কিন্তু ক্রিস গেইল থাকে, বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স থাকে। অথচ, তারা সফল হয় না। তো এটা আসলে ক্রিকেটারদের ব্যাপার না, এটা পুরো দলের ব্যাপার। তারা কিভাবে মাঠে খেলছে, তাদের উদ্দেশ্য কি ক্রিকেট নিয়ে। সবাই খুব পেশাদারিত্বের সাথে পারফর্ম করছে কি না। মাঠ ও মাঠের বাইরেও পেশাদার ছিল কি না। শৃংখলা ছিল কি না। নিজস্ব পারফরম্যান্স যেন ঠিকভাবে করতে পারে সেদিকে সবার নজর ছিল কি না। এসবকিছু মিলিয়ে আমরা এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি।’দলগত পারফরমেন্সের কারণে সাফল্য পাওয়ার কথা বললেও অধিকাংশের ধারণা মাশরাফিই দলের মূল রহস্য। তার চৌকস নেতৃত্বে কুমিল্লার এমন পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করেন তার দলের অনেকেই। তবে মাশরাফি বলছেন ভিন্ন কথা। বিনয়ী এই অধিনায়ক সফল্যের কৃতিত্ব সবাইকেই দিয়ে বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব আমি চেষ্টা করেছি। আমার ওপরও অনেক চাপ ছিল। আসলে এ বছরটা অনেক কঠিন ছিল, মানসিক বলেন, শারীরিক বলেন। আবার কিছু সময় অসুস্থও ছিলাম। সব মিলিয়ে কঠিন ছিল। কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি। একা কখনো একটা দলকে পরিবর্তন বা ঠিক করা যায় না। এটা টিম ম্যানেজম্যান্ট, কোচ ম্যানেজার, দলের সতীর্থ এবং সবার কাছ থেকে আসতে হয়। তো এই কৃতিত্ব সবার। দলে যারা ছিল সবার কৃতিত্ব রয়েছে ফাইনাল পর্যন্ত আসার পেছনে।’মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় ৬টায় ফাইনালের মঞ্চে বরিশাল বুলসের মোকাবেলা করবে মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আরটি/আরআইপি

Advertisement