ফিচার

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে যেসব ফল

সব কিছুই কমবেশি পরিবর্তিত হয়। সৃষ্টির শুরু থেকেই এমন হয়ে আসছে। এমনকি ফলও এ নিয়মের বাইরে নয়। এমন কিছু ফল আছে, যার স্বাদ-গন্ধ-রং আগে এমন ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে ফলগুলো। আসুন জেনে নেই সেসব ফল সম্পর্কে-

Advertisement

আপেল: আপেলের আগের বৈশিষ্ট্য এমন ছিল না। এর স্বাদ বদলে গেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। আমরা নিয়মিত বাজার থেকে যে ফল কিনে থাকি, তা আগের চেয়ে অনেক বেশি মিষ্টি। এর আগে অনেক বেশি টক ছিল আপেলের স্বাদ।

তরমুজ: তরমুজ সব সময় মসৃণ ও লাল ছিল না। এটি জানা যায় এক চিত্রশিল্পীর একটি সদ্য কাটা তরমুজসহ বিভিন্ন রকমের ফলের ছবি দেখে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, চিত্রিত তরমুজটি আধুনিক সংস্করণের চেয়ে একেবারে আলাদা দেখাচ্ছিল। এমনকি আমরা বিভিন্ন প্রজাতির তরমুজ খেয়ে থাকি, যার স্বাদ ও রং ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

কলা: বর্তমানে বেশিরভাগ দোকানে যে কলা পাওয়া যায়, তাহলো ক্যাভেনডিশ নামে পরিচিত একটি জাত। জানা যায়, উনিশ শতকের পর থেকে অনেক ধরনের কলা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। একধরনের ছত্রাক কলার পরিবর্তনে প্রভাব ফেলেছিল।

Advertisement

এপ্রিকট: এপ্রিকট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈন্যদের দেওয়া হতো। যা খেলে শরীরকে দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রম করতে সাহায্য করতো। কিন্তু ফলগুলো পরিবহনের কারণে শুকিয়ে পরিবর্তন হতে শুরু করে। ফলে আস্তে আস্তে সামুদ্রিক যানবাহনে ফলটি পরিবহনের আর অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুধু কুসংস্কারের কারণে এ জাতীয় সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

ডুরিয়ান: ডুরিয়ান ফল সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অনেক খাবারের পাশাপাশি ওষুধ এবং মিষ্টিগুলোতে ব্যবহার করা হয়। তবে এর ভয়াবহ গন্ধের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। জার্মানির শোয়েনফুর্টে একটি পোস্ট অফিসে ডুরিয়ান ফল এসেছিল। তাতে তীব্র গন্ধ ও গ্যাসে ৬ জন শ্রমিককে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। ফলে গন্ধের জন্য অনেক হোটেল এবং যানবাহনে এটির প্রবেশ নিষিদ্ধ।

সালমান/এসইউ/এএ/এমএস

Advertisement