ধর্ম

মহররমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

মহররম আরবি বর্ষের প্রথম মাস। অপরাধীর ক্ষমা লাভের মাস। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাস। এ মাসের রয়েছে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। যা ইসলামের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে, এ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ তাআলঅ পৃথিবী সৃষ্টি করেন এবং পৃথিবীর প্রথম মানব-মানবী হজরত আদম ও মা হাওয়া আলাহিমুস সালাম শয়তানের প্রতারণায় আল্লাহর হুকুম লংঘন করে তাঁর শাস্তির সম্মুখীন হন। অবশেষে দুনিয়ায় আগমন, দু’জনের মিলন, আল্লাহর ক্ষমা লাভসহ সবই এ মাসের সংঘটিত হয়। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-পৃথিবীতে আগত সব নবী-রাসূলগণেরই কম-বেশি স্মৃতিবিজড়িত এ মহররম মাস। মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাহিস সালামের জন্য নমরুদের আগুন শান্তিতে পরিণত হয় এ মাসেই। যখন তাওহিদের দাওয়াত দেয়ায় জালিম শাসক নমরুদ হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে অগ্নিতে নিক্ষেপ করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর প্রিয় খলিলকে অগ্নিকুণ্ডলি থেকে রক্ষা করেন। হজরত নূহ আলাইহিস সালামের আমলের মহাপ্লাবন থেকে তাঁর উম্মতগণও ১০ মহররমে পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করেন। বাদশাহ হজরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তাঁর রাজত্ব ফিরে পান। হজরত মুসা আলাইহিসকে আল্লাহ তাআলা ফেরাউনের অত্যাচার থেকে রক্ষা করে তার দম্ভ চূর্ণ করে দেন এ মহররমের ১০ তারিখে। যার শোচনীয় পরিণতি হচ্ছে দলবলসহ ফিরাউন নীল নদে ডুবে ধংসের এক নজির হয়ে আছেন পৃথিবীতে।সর্বোপরি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রাণপ্রিয় নাতি হজরত ইমাম হোসাইন ইসলামের পতাকা উড্ডীন রাখতে বুকের তাজা রক্তে কারবালার প্রান্তরকে রঙিন করে শাহাদাতের পেয়ালা গ্রহণ করেন। যা সমগ্র মুসলিম হৃদয়ে আজও চির অম্লান। এ দিনে অনেক মানুষ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যা ইসলাম সম্মত নয়। মহররমের তাৎপর্য ও গুরুত্বকে উজ্জীবিত রাখতে এ মাসের প্রতিটি দিন ও রজনীকে ইবাদাত-বন্দেগি, নফল নামাজ, রোজা পালনের মাধ্যমে অতিবাহিত করা উচিত। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এ মাসে ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : jagoislam247@gmail.comজাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।এমএমএস/পিআর

Advertisement