ফিচার

আগরবাতি ব্যবহার কেন বন্ধ করবেন?

আগরবাতি প্রাচীনকাল থেকেই ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বস্তুটি অপরিহার্য। যেহেতু ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করে থাকি, তাই এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে ভাবা হয় না। তবে আগরবাতির ধোঁয়া যে কতটা ক্ষতিকর তা কল্পানাতীত। আগরবাতির ক্ষতিকর দিকসমূহ সম্পর্কে জানাচ্ছেন মো. বিল্লাল হোসেন—

Advertisement

শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ: গবেষণায় দেখা গেছে, জ্বলন্ত আগরবাতির ধোঁয়ায় কার্বন মনোঅক্সাইড পাওয়া যায়। যা নীরব ঘাতক নামে পরিচিত। এ ধোঁয়া বাতাসকে দূষিত করে ফুসফুসের প্রদাহ বাড়ায়। শ্বাসতন্ত্রে জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও এ ধোঁয়া কাশি ও হাচি সৃষ্টি করে।

ফুসফুসের রোগ ও অ্যাজমা: আগরবাতির ধোঁয়ায় রয়েছে সালফার ডাইঅক্সাইড, ফরমালডিহাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইড। যা নাকের মধ্যদিয়ে সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করে বিভিন্ন রোগ ও অ্যাজমা সৃষ্টি করে।

ত্বকের অ্যালার্জি: বিশেষ করে বাচ্চা ও বৃদ্ধদের ত্বকের অ্যালার্জি হয় আগরবাতির সংস্পর্শে এলে। এছাড়া চোখ জ্বালাপোড়ার সমস্যাও হতে পারে।

Advertisement

স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা: আগরবাতি পোড়ালে যে ধোয়া উৎপন্ন হয়। তা রক্তে কার্বন মনোঅক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা স্নায়ুতন্ত্রের নানাবিধ সমস্যা তৈরি করে।

শ্বাসতন্ত্রের ক্যান্সার: আগরবাতির ধোঁয়ায় কারসিনোজেন পাওয়া গেছে। অর্থাৎ এটি শ্বাসতন্ত্রের ক্যান্সারের জন্য দায়ী।

কিডনির সমস্যা: এ ধোঁয়া দেহের বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা দেহ থেকে অপসারণ করতে কিডনি ব্যর্থ হয়। ফলে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

হৃদরোগ: যারা নিয়মিত আগরবাতি ব্যবহার করেন। তাদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেক গুণ বেড়ে যায়।

Advertisement

সুতরাং আসুন আগরবাতির ব্যবহার বন্ধ করার চেষ্টা করি। একান্তই দরকার হলে জন সমাগম থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখার চেষ্টা করি।

লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

এসইউ/জেআইএম