দেশজুড়ে

নদীতে চামড়া ভাসিয়ে দিতে চান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা

চামড়ার বাজার মূল্যে ধস নামায় মাথায় হাত পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চামড়া ব্যবসায়ীদের। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। জেলা শহরের বোর্ডিং মাঠে বসেছে অস্থায়ী চামড়ার হাট। এ হাটে ঈদের দিন বিকেলের পর জেলার বিভিন্নস্থান থেকে কোরবানির পশুর চামড়া কিনে এনে বোর্ডিং মাঠের হাটে চামড়া জড়ো করছেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

মঙ্গলবার সারাদিন এ হাটে চামড়া বেচাকেনা হবে। চাহিদা অনুযায়ী চামড়া থাকলেও রয়েছে ক্রেতার সঙ্কট। ক্রয়মূল্যের চেয়ে দাম কম ওঠায় অনেক ব্যবসায়ী তাদের চামড়া নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রতিবছর শহরের টি.এ রোডে বসতো অস্থায়ী চামড়ার হাট। এবার সেই হাট বোর্ডিং মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ হাটে চামড়া নিয়ে আসা অধিকাংশই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ঈদের বাড়তি কিছু আয়ের আশায় বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে চামড়া কিনেন তারা। তাই চামড়া ব্যবসা কিংবা বাজার দর সম্পর্কেও তেমন ধারণা নেই তাদের। এবার তাই বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে চামড়া ব্যবসায়ীদের। লাভ তো দূরে থাক, অনেকেই এখন বিনিয়োগকৃত টাকা ওঠানো নিয়ে শঙ্কায় আছেন। এ অবস্থায় চরম হতাশায় আছেন ব্রাহ্মবাড়িয়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা।

বোর্ডিং মাঠের অস্থায়ী চামড়ার হাটের কয়েকজন চামড়া ব্যবসায়ী হতাশা নিয়ে জানান, চামড়া নিয়ে প্রশাসনের কোনো দৃষ্টি নেই। ঈরে দিন বিকেল থেকে চামড়া নিয়ে বিপাকে আছেন তারা। সিন্ডিকেটের কারণে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকার চামড়া ক্রেতারা এসে ৫০ টাকা ১০০ টাকা বলছে। দুই লাখ টাকার চামড়া এখন দাম ওঠছে ১০ হাজার টাকা। এ দামে চামড়া বিক্রির চেয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া অথবা মাটিতে পুতে ফেলাই ভালো।

Advertisement

চামড়ার বাজারমূল্য কম হওয়ায় অধিকাংশ চামড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।

এ ব্যাপারে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ গোলাম কবির জাগো নিউজকে জানান, চামড়া পাচার রোধে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করা হয়েছে। কোনোভাবেই সীমান্ত পার হয়ে যেন ভারতে চামড়া যেতে না পারে সেজন্য তারা সতর্ক থাকাবেন। সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজিজুল সঞ্চয়/এমএএস/জেআইএম

Advertisement