পটুয়াখালীর বাউফলের এক ইউনিয়নে ব্রিজের সংযোগ মোড়ের পাকা সড়কে প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই সড়কে যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সড়কের নিচের মাটি সরে গিয়ে এ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বড় ব্রিজ এবং বাজার-সংলগ্ন ব্রিজের মাঝখানে ছোট ব্রিজ-সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে প্রায় ৮-১০ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে শাপলাখালী জিপিএস টু আমিরাবাদ, ভায়া-বিরপাশা টু ভায়া-কনকদিয়া বাজারে প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১২শ লোক চলাচল করে। ঈদে এই সড়কে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ চলাচল করবে। এ ছাড়া প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে কমপক্ষে ছোট-বড় ৪ শতাধিক যানবাহন চলাচল করে।
ওই গর্তের পাশ দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে অটোরিকশা, অ্যাম্বুলেন্স, ট্রাক, টমটম ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন। ওইস্থান দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় দুর্ঘটনা ও জীবনহানির ভয়ে যাত্রী ও গাড়িচালকদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা এ কে এম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এটি কোনো ইঁদুরের গর্ত নয়। পাকা সড়কে প্রায় ৮-১০ফুট গর্ত বিশাল ব্যাপার। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন।’ মোটরসাইকেল চালক মনিরুল ইসলাম জানান, এ সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে দিনের বেলা কোনো রকমে চলাচল করা গেলেও রাতের বেলা সম্ভব না।
Advertisement
এ বিষয়ে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার বলেন, ‘পানির তোড়ে ব্রিজের সংযোগ মোড়ের পাকা সড়কে এই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি গত বছর উপজেলা পরিষদ ও এলজিইডিকে অবহিত করেছিলাম। তারা বলছে, কোনো ফান্ড নেই। পরে গতবছর আমার নিজের অর্থায়নে ওইস্থান ভরাট করেছিলাম। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে আবারও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নিজের এলাকার মানুষ চলাচল করে তাই ইউনিয়ন পরিষদের কোনো খাতেও ওই টাকা দেখাইনি।’
তিনি বলেন, সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা প্রয়োজন। এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) অথবা এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর) রাস্তাটি সংস্কার করতে পারে।’
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এসআর
Advertisement