আন্তর্জাতিক

নুসরাত-নিখিলের মধুচন্দ্রিমার ছবি প্রকাশ

গত ১৯ জুন তুরস্কের বোদরুমে বিয়ে সম্পন্ন হয় টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং তৃণমূল দলীয় লোকসভার এমপি নুসরাত জাহান। গত লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট থেকে নির্বাচিত হন তিনি। পাত্র নিখিল জৈন পেশায় ব্যবসায়ী। সম্প্রতি এই নবদম্পতি মধুচন্দ্রিমায় গেছেন মরিশাসে। সেখান থেকেই ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করেছেন তারা।

Advertisement

বিয়ের পর থেকেই নানা কাজে ভীষণ ব্যস্ত নুসরাত। কখনও শপথ নিতে সংসদে ছুটে গেছেন, কখনও বা ইসকনের রথযাত্রায় বিশেষ অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেছেন। অন্য ধর্মের পুরষকে বিয়ে করে মাথায় সিঁদূর দিয়ে ফেরায় মুসলিম এই অভিনেত্রীকে নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি।

অবশেষে সব ব্যস্ততা আর সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে দুজনে একান্তে কিছুটা সময় কাটানোর জন্যই তারা মরিশাসে গেছেন মধুচন্দ্রিমায়। প্রথমে কলকাতা হয়ে মুম্বাই, তারপর সেখান থেকে ভোরের বিমানে করে সোজা মরিশাস গেছেন তারা।

মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নুসরাতের ঘুম জড়ানো মেকাবিহীন লুকের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট নজর কেড়েছে অনেকের। সবাই তা নিয়ে আলোচনায় করছেন। আর ছবিগুলো প্রকাশি করেছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা।

Advertisement

হাতে চুড়ি, গায়ে সাদা-নীলের মিশেলে ফুলহাতা জামা; নুসরাতের হনিমুন স্পেশাল আউটফিট চোখ টানবে সবারই।

নিখিলও কম যান না। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে মধুচন্দ্রিমার ছবি পোস্ট করেছেন তিনিও। নুসরাতের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘উইথ মাই মুন।’

পেছনে সবুজ পাহাড়ের রাশি। হাতে হাত রেখে তারা দাঁড়িয়ে রয়েছেন একসঙ্গে। সময় যেন থমকে গিয়েছে। দুজনের সম্পর্কের রসায়ন ছাপিয়ে গেছে মরিশাসের চোখ ধাঁধানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেও।

এত জাঁকজমক আয়োজনে টলিউডে আর কোনও বিয়ে দেখা যায়নি। মেহেদি, সঙ্গীত, ইয়ট পার্টি, হোয়াইট ওয়েডিং; কী ছিল না সেখানে! টলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে কারও নিমন্ত্রণ না থাকলেও নুসরাতের অন্তরঙ্গ বন্ধু অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী কিন্তু প্রথম দিন থেকেই তার সর্বক্ষণের সঙ্গী।

Advertisement

দেশে ফিরে কলকাতার এক অভিজাত হোটেলে ধূমধাম করে নুসরাত-নিখিলের গ্র্যান্ড রিসেপশন হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়া অভিনেত্রী রাইমা সেন, আবির চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ছিলেন অনেকেই।

রিসেপশনের দিন সন্ধ্যায় নুসরাতের দিকে তাকিয়ে নিখিল বলেছিলেন, ‘ওর দায়িত্ব আমার। ওকে ভাল রাখব সবসময়।’মুচকি হেসে নুসরাতের জবাব ছিল, ‘সারাজীবন একই মানুষের সঙ্গে কাটাতে হবে, বুঝতে পারছেন চাপটা?’

এসএ/পিআর