দেশজুড়ে

বগুড়ায় ৭৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত

বগুড়ায় মোট ৭৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪০ জন। জেলার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭ জন। ২৪ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আর ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আরিফুর রহমান তালুকদার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

Advertisement

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শজিমিক হাসপাতাল ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে আরও সাতজন। আক্রান্তদের সকলেই ঢাকা থেকে এডিস মশার জীবানু বহন করে বগুড়ায় এসেছে। মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল ছাড়াও চিকিৎসাধীন আছে এমন আরর চারজন রোগী ভর্তি হয়েছেন বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়াস্থ শামসুন নাহার ক্লিনিকে। তিনজন ডক্টর’স ক্লিনিকে ভর্তি আছেন।

আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বহির্বিভাগের সামনে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আরিফুর রহমান তালুকদার জানান, হাসপাতালে ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিন নেই। অনেক আগে কোনো একটি সংস্থা দুটি সেল সেপারেটর মেশিন দিলেও তা অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হলেও হেমোরেজিক ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার কোনো সরঞ্জামাদি নেই। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে। রোগীদের জাতীয় গাইড লাইন মোতাবেক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যারা রেফার্ড নিয়ে ঢাকায় যেতে চাচ্ছেন তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে। শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সকলেই ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং তারা প্রথম ধাপে রয়েছেন। তাদের অবস্থা খারাপ নয়।

বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, বগুড়া শহরের বেসরকারি ক্লিনিকে সাতজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর শজিমেকে ভর্তি রয়েছেন ৪০ জন। এছাড়া আরও ২৪ জন রোগী ছাড়পত্র নিয়েছেন। ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ছয়জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত বগুড়ায় এডিশ মশার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। যারা আক্রান্ত তারা সবাই ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে বগুড়ায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

লিমন বাসার/আরএআর/এমএস

Advertisement