কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সরকারের যে পরিমাণ ধান ক্রয় করার কথা সে পরিমাণ এখনও সংগ্রহ হচ্ছে না। ধানের দাম গত বছরের চেয়ে কেজি প্রতি তিন টাকা বাড়ানো হয়েছে। তারপরও ধান মিলছে না। তারপরও চালের দাম হ্রাসে সরকার সচেষ্ট আছে।
Advertisement
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিস পরিদর্শন উপলক্ষে কৃষি তথ্য সার্ভিস মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কৃষি বিষয়ক তথ্য জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য পেলে কৃষক উপকৃত হবে ও উৎপাদন বাড়বে।
কৃষি তথ্য সার্ভিস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা বলেন, কৃষি আমাদের প্রাণ। কৃষিই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। স্বাধীনতার সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি, সে সময় যে পরিমাণ কৃষি জমি ছিল এখন কিন্তু কমে গেছে। এখন জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি হয়ে গেছে। কৃষক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা পরিশ্রম করে এ বিশাল জনগণের খাদ্য চাহিদা জোগান দিচ্ছে।
Advertisement
কৃষকদের যে কোনো সমস্যার কথা বেশি করে তুলে ধরার জন্য তিনি সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আমাদের উপকার করে। আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে পারি। কৃষির ওপর ভালো খবর ও সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করার ওপর উপদেষ্টা গুরুত্বারোপ করেন।
বাজারে সিন্ডিকেট নিয়ে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, আমরা দৃশ্যমান তেমন কোনো সিন্ডিকেট চিহ্নিত করতে পারিনি। তবে কোনো সিন্ডিকেট হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিনের অন্য কর্মসূচিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা সাম্প্রতিক সংকটের সময় সবজির ওএমএস কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। রোজার সময় এ কর্মসূচি আবারও চালু করা হতে পারে বলে উপদেষ্টা জানান। কৃষক যাতে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্যে পায় সে বিষয়ে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য কৃষি বিপণন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শনকালে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এনএইচ/এমআইএইচএস