আইন-আদালত

ফিটনেসবিহীন গাড়ির লাইসেন্স নবায়নে ২ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট

রাজধানীসহ দেশের সব জেলা-উপজেলায় ফিটনেসবিহীন যানবাহনের লাইসেন্স নবায়নের (রিনিউ) জন্য ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই দুই মাস পর যথাযথ কর্তৃপক্ষ অভিযান পরিচালনা করবে, যাতে গাড়ির মালিক বলতে না পারেন যে, লাইসেন্স নবায়নের জন্য তাদের সময় দেয়া হয়নি।

Advertisement

সেই সঙ্গে আদালতের এ আদেশ ব্যাপকভাবে গণমাধ্যমে (পত্রিকা ও টেলিভিশনে) প্রচার প্রচারণার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও পুলিশের আইজিকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে আদালতকে জানানোর জন্য বলেছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি আদালত বলেন, এ সময়ের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করা না হলে আগামী ১৫ অক্টোবর পরিবহনগুলো জব্দের নির্দেশ দেয়া হবে। এ বিষয়ে ১৫ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে বিআরটিএর দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

Advertisement

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়ম মামুন মাহবুব। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী ও মো. রাফিউল ইসলাম।

এর আগে সকালে দেশজুড়ে ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তা নবায়ন না করেই ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি যানবাহন রাস্তায় চলাচল করছে, উল্লেখ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

আরও পড়ুন>> ফিটনেসবিহীন কোনো গাড়ি রাস্তায় থাকবে না : হাইকোর্ট

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর দায়ে চলতি বছর ৬ কোটি ৭২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া ৩৯ হাজার ৮৩৭টি মামলা করা হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন ২১৪টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে। কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ৭২৮ চালককে।

Advertisement

গত ২৪ জুন হাইকোর্টের দেয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএর আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম আজ এ প্রতিবেদন জমা দেন।

‘নো ফিটনেস ডকস, ইয়েট রানিং’ শিরোনামে গত ২৩ মার্চ ইংরেজি ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি নজরে আনা হলে গত ২৭ মার্চ হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারিসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।

সেদিন বিআরটিএর পরিচালককে (রোড সেফটি) ২৪ জুন আদালতে হাজির হতে বলেছিলেন। একই সঙ্গে লাইসেন্সবিহীন চালক ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানের সংখ্যা-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওইদিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে এক মাসের মধ্যে বিআরটিএকে এই তথ্য প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।

এফএইচ/এমএসএইচ/পিআর