‘আপনাদের নাকের ডগার ওপর দিয়ে কীভাবে লাখ লাখ ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলে’ -বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) উদ্দেশ্য করে এমন প্রশ্ন করেছেন হাইকোর্ট। এ সময় রাস্তায় কোনো ফিটনেসবিহীন গাড়ি থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
Advertisement
ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে বিআরটিএর দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
এরপর ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে বিআরটিএর দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আদালত আগামী (১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর) দুই মাসের মধ্যে এসব গাড়ি মালিকদের ফিটনেস নবায়ন কার্যক্রম করতে নির্দেশ দিন। অন্যথায় আদালত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দেবেন বলেও জানান।
একই সঙ্গে আদালতের আদেশসহ ফিটনেস নবায়ন বিষয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বিআরটিএ ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বলা হয়েছে। পরে আগামী ১৫ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন আদালত।
Advertisement
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনুদ্দিন মানিক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়ম মামুন মাহবুব।
এর আগে সকালে দেশজুড়ে ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তা নবায়ন না করেই ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি যানবাহন রাস্তায় চলাচল করছে বলে উল্লেখ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। গত ২৪ জুন হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএর আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম এ প্রতিবেদন জমা দেন।
‘নো ফিটনেস ডকস, ইয়েট রানিং’ শিরোনামে গত ২৩ মার্চ ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি নজরে আনা হলে গত ২৭ মার্চ হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলজারিসহ অন্তর্বতীকালীন আদেশ দেন।
সেদিন বিআরটিএর পরিচালককে (রোড সেফটি) ২৪ জুন আদালতে হাজির হতে বলেছিলেন। একই সঙ্গে লাইসেন্সবিহীন চালক ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানের সংখ্যা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
Advertisement
এরই ধারাবাহিকতায় ওইদিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে এক মাসের মধ্যে বিআরটিএকে এ তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।
এফএইচ/এসআর/আরএস/এমকেএইচ/জেআইএম