দেশজুড়ে

সাভারে চলন্ত ট্যাক্সিক্যাব তুরাগ নদে, হতাহতের আশঙ্কা

সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলন্ত একটি ট্যাক্সিক্যাব নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে। রোববার আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে মহাসড়কের আমিনবাজারের অদূরে সালেহপুর সেতুর ওপর থেকে ট্যাক্সিক্যাবটি তুরাগ নদে নিমজ্জিত হয়।

Advertisement

খবর পেয়ে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে গাড়িটি পড়ে যাওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যাচ্ছে না। সাভার, মিরপুর ও কল্যাণপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

ফায়ার সার্ভিসের কমান্ডার আনোয়ারুল হক বলেন, ঘটনাস্থলে ডুবুরিদল উপস্থিত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ট্যাক্সিক্যাবের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় কাউকে উদ্ধারও করা যায়নি।

নৌ পুলিশের ঢাকা জোনের আমিনবাজারের ওসি দিদারুল আলম বলেন, ট্যাক্সিক্যাবটি সাভার থেকে ঢাকার দিকে আসছিল। সালেহপুর ব্রিজের কাছে এসে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তুরাগ নদে পড়ে যাওয়ার খরব দেয় স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে নৌ পুলিশের ডুবুরিদলও কাজ শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো কিছুর চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

Advertisement

ট্রাফিক পুলিশের আমিনবাজার বক্সের ইনচার্জ কামরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে সড়কে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, একটি হলুদ রঙের ট্যাক্সিক্যাব সাভার থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমিনবাজার তুরাগ সেতুর পাশ দিয়ে নদীতে পড়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আইসিএস বিজনেস গ্রুপের আমিনবাজার সাইড অফিসে কর্মরত জসিম উদ্দিন জয় বলেন, রাত ৮টার দিকে আমি অফিস থেকে বের হয়ে রিকশাযোগে আমিনবাজার যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি দ্রুত গতিতে সাভার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি হলুদ রঙের ট্যাক্সিক্যাব একটি বাসের সামনে দিয়ে উড়ে গিয়ে তুরাগ নদীতে পড়ে। এ সময় আমিসহ আরও কয়েকজন বিষয়টি দেখেছি। পরে আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের অক্টোবরে একই সেতু থেকে তুরাগ নদীতে বৈশাখী পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস নিমজ্জিত হয়। এতে প্রায় অর্ধশত যাত্রী প্রাণ হারায়।

আল-মামুন/এমএসএইচ

Advertisement

আল-মামুন/এমএসএইচ